বিষাক্ত আংটি দিয়ে সৌদি বাদশাহকে খুনের পরিকল্পনা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০৭:৫৬ পিএম

বিষাক্ত আংটি দিয়ে সৌদি বাদশাহকে খুনের পরিকল্পনা!

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান একটি বিষাক্ত আংটি ব্যবহার করে বাদশাহ আব্দুল্লাহকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরি এমন বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের্ গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের ‘সিক্সটি মিনিটস’ নামে একটি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি ওই দাবি করেন।

স্থানীয় সময় রবিবার (২৪ অক্টোবর) সিবিএস নিউজে প্রচারিত ওই টকশোয় আল-জাবরি ২০১৪ সালের একটি ঘটনার বর্ণনা দেন যেখানে মোহাম্মদ বিন সালমান এবং তাঁর চাচাতো ভাই মোহাম্মদ বিন নায়েফ ছিলেন। নায়েফকে পরবর্তীতে সৌদি আরবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কজরা হয়।

সেসময় নায়েফকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘আমি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে হত্যা করতে চাই। রাশিয়া থেকে একটি বিষাক্ত আংটি আনছি, যেটি পরে আব্দুল্লাহর সঙ্গে হাত মেলাতে পারলেই যথেষ্ট হবে। তিনি এটা বাগাড়ম্বর করতে বলেছিলেন কিনা তা জানি না, তবে তিনি বলেছিলেন এবং আমরা এটাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলাম।’

২০১৫ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ।৯০ বছর বয়সে বাদশাহ আব্দুল্লাহর মৃত্যু হলে মোহাম্মদ বিন সালমানের বাবা বর্তমান বাদশাহ ক্ষমতায় আসীন হন।  এরপর ২০১৭ সালে বিন নায়েফের জায়গায় ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ বিন সালমান।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে কানাডায় স্বেচ্ছায় প্রবাস যাপনকারী সৌদি আরবের গোয়েন্দা বিভাগের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় পদে নিযুক্ত এই কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন নায়েফের সঙ্গে ঘনিষ্ট ছিলেন। মোহাম্মদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর ক্ষমতার টানাপোড়েনে মোহাম্মদ বিন নায়েফ কোনঠাসা হয়ে পড়েন। ২০১৭ সালের জুন থেকে তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন।

টেক শোতে সাদ আল-জাবরি আরও বলেন, ‘আমাকে হত্যা করতে ২০১৮ সালে কানাডায় হিট স্কোয়াড পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। এ ছাড়া আমার দুই সন্তান সারাহ ও ওমরকে বর্তমানে সৌদি আরবে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে।’ টকে শোর মাধ্যমে সৌদি আরবে জেলবন্দি দুই সন্তানের মুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান সাদ আল-জাবরি।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনার পরই আল-জাবরিকে কানাডায় হত্যার হুমকি পাঠানো হয়। আল-জাবরিকে হত্যার হুমকি নিয়ে সেসময় সংবাদমাধ্যমে খবরও বের হয়।

সৌদি আরবের সরকারি মালিকানাধীন কয়েকটি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা কর্তৃপক্ষের নিকট সাদ আল-জাবরির বিরুদ্ধে অর্থচুরির অভিযোগ দিয়েছে। এসব কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাতে রয়েছে বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়।

Link copied!