ভারতে কংগ্রেসসহ ১৯টি দলের বয়কটের মধ্যেই নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করলেন মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মে ২৯, ২০২৩, ১২:০৮ এএম

ভারতে কংগ্রেসসহ ১৯টি দলের বয়কটের মধ্যেই নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করলেন মোদি

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে দেশটির নতুন পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বিরোধী দলগুলোর বয়কটের মধ্যেই এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মূলত ভারতের রাষ্ট্রপতিকে পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করতে না বলায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসসহ দেশটির ১৯টি বিরোধী রাজনৈতিক দল এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করে।

বিবিসি’র প্রতিবেদরেন বলা হয়, হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রবক্তা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মবার্ষিকীতে এ অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছে বিরোধীদলগুলো। তবেবিরোধী দলগুলোর এই বয়কটকে ‘গণতন্ত্রের অসম্মান’ বলে অভিহিত করেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

রবিবার সকালে নতুন পার্লামেন্ট ভবনে স্বর্ণদণ্ড ‘সেঙ্গল’ স্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় পার্লামেন্টের স্পিকার ওম বিড়লাকে সাথে নিয়ে বেদমন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে স্পিকারের আসনের পাশে বিশেষ এই দণ্ডটি স্থাপন করেন তিনি। এরপরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ব্রিটিশরা ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে এই স্বর্ণদণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলে দাবি বিজেপির। কিন্তু তাদের এই দাবিকে ‘মিথ্যা ও আজগুবি’ অভিহিত করে উড়িয়ে দিয়েছে প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস। দলটির দাবি, এই সেঙ্গেলের বিষয়ে কোনো প্রামাণ্য নথি নেই।  

ঔপনিবেশিক আমলের পুরনো পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ৯৭০ কোটি রুপি ব্যয়ে ৬৪ হাজার ৫০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ত্রিভুজাকৃতির চারতলা এই নতুন পার্লামেন্ট ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার’র প্রতিবেদনে বলা হয়,  নতুন পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের তিনটি প্রধান ফটক আছে, সেগুলোর নাম জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার ও কর্ম দ্বার। নতুন লোকসভা হলে ৮৮৮টি আসন আছে। তবে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশন চলাকালে নিম্নকক্ষের এই হলে ১২৭২ জন সদস্য বসতে পারবেন। এই নিম্নকক্ষের নকশা করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে।  অপরদিকে, ভারতের জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে তৈরি করা হয়েছে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার নকশা।

কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দলটির অন্যতম নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, পার্লামেন্টের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভবনটি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে উদ্বোধন করানো উচিত ছিল।

কংগ্রেসের এমপি জয়রাম রমেশ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সাভারকরের জন্মবার্ষিকীর দিনে করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, “এমন একজন মানুষের জন্মবার্ষিকীর দিনে অনুষ্ঠানটি করা হচ্ছে যিনি সারাজীবন ধরে প্রবলভাবে মহাত্মা গান্ধীর বিরোধিতা করে গেছেন।”    

Link copied!