বেটা
আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কুন্দুজের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪৬ জন নিহত ও অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর এটি সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা।
এক টুইটে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশন বলেছে, ‘প্রাথমিক তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে মসজিদের ভেতরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।’
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বখতারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজে মসজিদের ভেতরে ধ্বংসস্তুপে লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে হামলায় ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে টোলো নিউজ জানায়, হামলার সময় মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে সমবেত হয়েছিল ৩শ’র বেশি মানুষ।
কুন্দুজ প্রদেশের রাজধানীও কুন্দুজ। ঘটনার পর স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় একটি শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি হাসপাতালের দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা ৭০ থেকে ৮০ মধ্যে হতে পারে।
এর আগে এক টুইটে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, ‘বিকেলে আমাদের স্বদেশী শিয়াদের একটি মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে..এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক স্বদেশী শহিদ ও আহত হয়েছেন। এই হামলার পেছনে কে বা কারা জড়িত তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি।
সম্প্রতি রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর বেশ কয়েকটি দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।
মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত এসব হামলা তালেবানের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করা তালেবান সম্প্রতি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে আগস্টে কাবুলের বিমানবন্দরে বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল এ গোষ্ঠীটিই। এছাড়া কাবুলে তালেবান নেতাদের একটি শেষকৃত্যানুষ্ঠানে আইএস হামলা চালিয়েছে কিছুদিন আগেই। পূর্বাঞ্চলীয় নানগহর এবং কুনার প্রদেশেও বেশকিছু ছোটখাট হামলা হয়েছে। এই প্রদেশগুলো আগে আইএস এর ঘাঁটি ছিল।
সূত্র: এএফপি,রয়টার্স,বিবিস।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
-20241114092417.jpg)
