জুলাই ১৫, ২০২১, ০৪:২৪ পিএম
করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের ফলে অন্তত ৯৩ হাজার মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। যা বিগত বছরের থেকে ২৯ শতাংশ বেশি। বুধবার (১৪ জুলাই) মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এমন উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য গবেষক ব্র্যান্ডন মার্শাল। যিনি মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের প্রবণতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এভাবে মৃত্যু মানব জীবনের এক বিস্ময়কর ক্ষতি।
২০১৯ সালে একই কারণে ৭২ হাজার মার্কিনির মৃত্যু ঘটে। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ শতাংশে।
এ বিষয়ে গবেষক মার্শাল বলেন, ‘একদিকে অতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগে জাতি ভুগছে অন্যদিকে করোনা মহামারী গভীর করে তুলেছে’। জর্ডান ম্যাকগ্লাশেন নামক এক ব্যক্তি অতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের কারণে তার জন্মদিনের ৬ দিন আগে মিশিগানের নিজ বাসায় মরদেহ পাওয়া যায়। সে হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকে আসক্ত ছিল।
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ব্যাথা নাশক ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। ফেন্টানেল ক্যান্সারের মতো অসুস্থতার পাশাপাশি তীব্র ব্যাথার উপশমে ব্যবহার হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এটি গত কয়েক বছরে অবৈধভাবে বিক্রি বেড়েছে এবং অন্যান্য ড্রাগের সাথে মিশে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
তবে, সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালযয়ের সমাজ বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক শ্যানন মোন্নতা বলেন, গত বছর মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগে বহু সংখ্যক আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে এমন কোন প্রমাণ নেই। বরং মৃত্যুর বৃদ্ধির পেছনে হয়তো নেশার কারণ হতে পারে।
২০২০ সালে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যু নিয়ে পর্যালোচনা করেছে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। তাদের মতে এক বছরেই ওষুধের ওভারডোজে ৯৩ হাজার মানুষ মারা গেছেন। আশ্চর্যজনক বিষয়ক হচ্ছে দৈনিক ২৫০ জনের মৃত্যু হয়।
সিডিসি’র তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০-এর দিকে হেরোইন সেবনে মহামারী দেখা দিলে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের ফলে ৭ হাজার ২শ’ জন মারা যান। আর ১৯৮৮ সালে প্রাণ হারান ৯ হাজারের মতো। সিডিসির প্রতিবেদনে এসেছে, এদিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অঙ্গরাজ্যে এগিয়ে। একটি নিউ হ্যাম্পশায়ার অন্যটি সাউথ ডাকোটাতে।
তবে, কেনটাকি রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, এবং ক্যালিফোর্নিয়াতেও একই পরিস্থিতিত। আর ভেরমন্ট-এ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৮ শতাংশ।