বেটা
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। এ লক্ষ্যে সমর্থন আদায়ে জোটভুক্ত বিভিন্ন দেশে সফর শুরু করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। মিয়ানমার সংকট নিয়ে আসিয়ানের একটি বিশেষ বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার প্রস্তাবে বেশ কয়েকটি সদস্য দেশের জোরালো সমর্থন রয়েছে বলে জানা যায়।
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে বিক্ষোভরত মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকার। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস ব্রাসেলসে বলেছেন, ‘আমরা দাঁড়িয়ে থেকে দেখার জন্য প্রস্তুত নই।’ কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যেসব ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত আছে সেগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে দেশটির দরিদ্র শ্রমিকদের আক্রান্ত করতে পারে এমন সব বাণিজ্য সীমিত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে জোটটি।
এদিকে গত সোমবার মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকারের আরও দুই জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী সরকারের প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েক জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এছাড়া বিক্ষোভকারীদের ওপর মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং জাপান। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও সেনা সরকারকে নিপীড়ন থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: আলজাজিরা
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
