রাজাপক্ষের পদত্যাগে যে পরিস্থিতিতে পড়তে পারে শ্রীলংকা

প্রচণ্ড গণবিক্ষোভে শ্রীলংকায় উথালপাতাল পরিস্থিতিতে প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। চলতি সপ্তাহের বুধবারেই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। দেশটির স্পিকার মাহিন্দ্রা ইপার কাছে এ তথ্য দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই।

শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলংকার বার্তা সংস্থা দ্য ডেইলি মিরর এ তথ্য দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। এই পরিস্থিতিতে রাজাপক্ষে পদত্যাগ করলে শ্রীলংকায় আগামী দিনে যে পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে দেশটির সংবিধান অনুযায়ি তার একটি চিত্র পাওয়া যায়।

শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। ছবি: সংগৃহীত

১.  মেয়াদ শেষের আগেই যদি আসছে বুধবার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাজাপক্ষে গোতাবায়া, তা হলে পার্লামেন্টের যেকোনো এক সদস্যকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করতে হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্টের ইস্তফার এক মাসের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়োগ করতে হবে।

২. শ্রীলংকার সংবিধান অনুযায়ি, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের তিন দিনের মধ্যেই পার্লামেন্টে অধিবেশন ডাকতে হবে। সেখানে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের কথা জানাতে হবে পার্লামেন্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে। পাশপাশি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোয়নপত্র জমা দেয়ার দিনক্ষণ জানাতে হবে।

৩. শ্রীলংকার সংবিধান অনুযায়ি প্রেসিডেন্ট হিসেবে যদি একজন মনোনীত হন, তা হলে তার নাম ঘোষণা করতে হবে সেক্রেটারি জেনারেলকে। তবে যদি একের বেশি সদস্য এই পদের জন্য মনোনীত হন, তা হলে গোপন ব্যালটের আয়োজন করে একজনকে নির্বাচিত করার বিধান  রয়েছে।

৪. দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যতক্ষণ না নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হচ্ছেন, ততক্ষণ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার কোনো এক সদস্য ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেই সময় দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

• বিষয় :
• শ্রীলংকা