বেটা
লন্ডনে পুলিশের হাতে সারাহ ইভারার্ড নামে এক নারী খুন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে নেমেছে ব্রিটিশ নাগরিকরা। করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই শনিবার (১৩ মার্চ) লন্ডনের ক্লেপহাম কমনে সহস্রাধিক মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে গত ৩ মার্চ নিখোঁজ হন সারাহ ইভারার্ড (৩৩)। তাকে সর্বশেষ দক্ষিণ লন্ডনের ক্লেপহাম কমনে দেখা গিয়েছিলো। পুলিশ গত বুধবার (১০ মার্চ) তল্লাশি চালিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডন থেকে ৫০ মাইল দূরে উডল্যান্ড থেকে সারাহ ইভারার্ডের মরদেহ উদ্ধার করে। এরইমধ্যে লন্ডনের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই তরুণীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ মার্চ) ভোর থেকেই নিহত সারাহকে শ্রদ্ধা জানাতে ক্লেপফাম কমনের ব্যাসস্ট্যান্ডে ফুল ও মোমবাতি নিয়ে হাজির হন কয়েক হাজার মানুষ। এদের বেশিরভাগিই নারী। এসময় উপস্থিত পুলিশের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভকারীরা ‘আপনাদের জন্য লজ্জা’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। এদিন রাজবধূ ও ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটনও সারাহর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিয়ের আগে লন্ডনের রাস্তায় একা চলাচল করাটা তার জন্য কেমন ছিল তা স্মরণ করেছেন তিনি।
ক্যাম্পেইন গ্রুপগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে শোক মিছিল বের করার পরিকল্পনা করেছিল। তবে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে জারি করা বিধি-নিষেধের মধ্যে এ ধরনের জমায়েত বেআইনি ও অনিরাপদ বলে দাবি করা হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার হেলেন বল জানিয়েছেন, নাগরিকদেও নিরাপত্তার আদেশ ভঙ্গ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন,পুলিশের প্রতিক্রিয়া যথাযথ ও সময় উপযোগী ছিল না। এ ব্যাপারে লন্ডন পুলিশের জরুরি ব্যাখ্যা চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স।
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
