বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম

বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে এশা পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সরফুদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর জানার পর পুলিশ টাঙ্গাইল পৌরসভার বোয়ালী এলাকায় ওই কলেজছাত্রীর বাসায় যায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল শহরের এক কিশোরী বাদী হয়ে বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলায় বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধ সমাধানের জন্য বড় মনির শরণাপন্ন হয় ওই কিশোরী। বড় মনি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

গত ( ১৭ ডিসেম্বর ) ওই কিশোরীকে শহরের আদালতপাড়ায় বড় মনির বাড়ির পাশে একটি ফ্ল্যাটে যেতে বলেন। সেখানে গেলে কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বড় মনির কক্ষে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন ও সেই ছবি তুলে রাখেন।

ধর্ষণ শেষে কাউকে এ কথা জানাতে নিষেধ করেন বড় মনি। কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি। এরপর ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বড় মনি প্রায়ই মেয়েটিকে ধর্ষণ করতেন বলেও উল্লেখ করা হয়।

মামলায় আরও বলা হয়, ধর্ষণের কারণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বড় মনি তাকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে বড় মনি মেয়েটিকে আদালতপাড়ায় তার শ্বশুরবাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। এতেও রাজি না হওয়ায় ওই বাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় মেয়েটিকে।

সেখানে আবারও ধর্ষণ করেন বড় মনি। ধর্ষণের পর বড় মনির স্ত্রী তাকে মারধর করলে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাত ৩টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে। এরপর থেকে ওই কিশোরীকে নানা হুমকি দেওয়া হতো।

বড় মনিকে ডিএনএ টেস্টে সহযোগিতা করতে বললেন। আপিল বিভাগে ধর্ষণ মামলায় গত (১৮ এপ্রিল ) হাজির হয়ে বড় মনি আবেদন করলে হাইকোর্ট তাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৩০ এপ্রিল চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। 

সেই অনুযায়ী গত ( ১৫ মে ) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বড় মনি।

Link copied!