এপ্রিলের শেষেই গরমে নাজেহাল শহরবাসী। আবহাওয়া দফতর খবর আগামী দিনে গ্রীষ্মের পারদ আরও চড়বে। গরমের প্রকোপ যত বাড়বে, ততই গরমের সঙ্গে আসা উপসর্গগুলিও এসে জুড়বে। অতিরিক্ত গরম, প্রখর রোদের তাপে মাইগ্রেনের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। যাঁদের রোজ রোদে বেরোতে হচ্ছে তাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় বেশি ভুগছেন। সেই সঙ্গেই গরমের কারণে ঘুম না হওয়া, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন আরও গুরুতর করে দেয় মাইগ্রেনের সমস্যাকে।
রোদ থেকে ফিরে এক বার মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে সহজে সারে তো না-ই, বরং চোখে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, গা বমি ভাব— পরিস্থিতিকে আরও অসহনীয় করে তোলে। মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল কেন মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে সেই কারণ খুঁজে বার করা। যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তা হলে মাইগ্রেন ডায়েরি মেনে চলুন। কোন দিনগুলিতে মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, সে দিনগুলিতে কী খাচ্ছেন, বেশি ক্ষণ রোদে থাকছেন কি না সেগুলি খেয়াল রাখুন।
শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না
গ্রীষ্মের দিনে ঘামের সঙ্গে প্রচুর মাত্রায় পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। রোজা রাখার ফলে পানিস্বল্পতা আরও বাড়ে। চিকিৎসকেরা দিনে অন্তত পক্ষে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। শরীর খারাপ লাগলেই ছায়ায় বসে অল্প অল্প করে পানি খান।
খাদ্যতালিকায় নজর রাখুন
খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যাঁদের মাইগ্রেন রয়েছে তাঁদের কফি, চকলেট, রেড ওয়াইন, ড্রাই ফ্রুটস, চিজ জাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলাই ভাল। পরিবর্তে বেশি করে ফল ও শাকসব্জি খেতে হবে।
টুপি ও রোদ চশমা ব্যবহার করুন
রোদ থেকে বাঁচতে টুপি ও রোদচশমা অবশ্যই ব্যবহার করুন। চোখে সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই সতর্ক থাকুন।
শীতাতপ যন্ত্রের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই গরমের অস্বস্তিবোধ কমাতে শীতাতপ যন্ত্রের তাপমাত্রা অত্যধিক মাত্রায় কমিয়ে রাখেন অনেকে। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেও ভাল নয়। এসির তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে মধ্যেই রাখা ভাল। নইলে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা।
উপকারী তেল সঙ্গে রাখুন
ইউক্যালিপটাস অয়েল, মিন্ট অয়েল দিয়ে মাথায় মালিশ করলে মাইগ্রেনের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি আরও যে উপসর্গ থাকে, তা-ও কম হয়।
খালি পেটে থাকবেন না
খালি পেটে থাকলেও মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যায়। গরমের দিনে খুব বেশি খেতে ইচ্ছে না করলেও হালকা খাবার কিংবা গোটা ফল সঙ্গে রাখুন।
চিনি এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত চিনি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতেই পারেন মাঝেমাঝে, তবে পরিমাণে কম।
সূত্র: আনন্দবাজার