পরিবারের অনেকেই বলে থাকেন, ছেলের একটু দেরি করে বিয়ে করা ভাল। তা হলে চাকরি পেয়ে খানিকটা গুছিয়ে নিতে পারবে। কিছুটা কম বয়সের মেয়েকে বিয়ে করলেও সুখী হবে বেশি।
আবার অনেকে বলে থাকেন, বয়স ২৫ হওয়ার আগেই ছেলের বিয়ে দেওয়া উচিত হবে। তাহলে ছেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকবে। এত শরীর ও মন ভাল থাকবে। আর এতে বিবাহিত ওই ছেলের আয়ু বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে না দিলে ছেলেরা বিগড়ে যেতে পারে। এমন নানা ধরনের ধারণার প্রচার রয়েছে আমাদের সমাজে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সমীক্ষা চালিয়ে সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে, ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করা গেলে পুরুষদের আয়ু বেড়ে যায়।
গবেষক দল বিয়ে নিয়ে যখন সমীক্ষা চালান তখন তার মূল বিষয় ছিল সম্পর্কের ধরন। কতটা সুখী হবে দাম্পত্য। কিন্তু দাম্পত্যসুখের আড়ালেই রয়েছে আর একটি বিষয়। তা হল, যাপনসুখ। যে নিজের যাপনের ধরন নিয়ে যতটা সন্তুষ্ট হবে, ততটাই বাড়বে আয়ু। নতুন সমীক্ষায় ধরা পড়েছে এই ঘটনা।
গবেষক দল সমীক্ষা চালাতে গিয়ে দেখতে পেলেন, মেয়েদের মতো ছেলেদেরও কম বয়সে বিয়ে করলেই সুখে থাকার আশা বেশি। তার কারণও জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, বয়স যত কম থাকবে, মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। ২৫-এর মধ্যে বিয়ে করা গেলে সবচেয়ে বেশি থাকে মানানসই সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ।
মনের মতো সঙ্গী পেলে মানসিক চাপ কম হবে। বিয়ে বেশি দিন টিকবে। আর সংসার সুখের হলে আয়ুও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সূত্র: আনন্দবাজার