শীতকালে মুখরোচক খাবার খেতে কার না ইচ্ছে হয়! বিশেষ করে এই সময়েই তো পছন্দসই হরেক রকমের ফল আর সবজি বাজারে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ছুটির দিনের পেটপুজো তো রয়েছেই। কিন্তু এরই মধ্যে শরীরে ওজন বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তাও তো পিছু ছাড়ে না। অথচ একটু মাথা খাটিয়ে রান্নাবান্না এবং খাওয়াদাওয়া করলেই এই চিন্তা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন সহজে।
১। বছরের এই সময় দিনের প্রতিটি খাবারে চর্বিহীন বা কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন রাখা প্রয়োজন। কম ফ্যাটের দই, বাদামের ছোট অংশ, পিনাট-বাটার, ডিম, মটরশুটি বা অল্প চর্বিযুক্ত মাংস খেলে তা আপনাকে শক্তি সরবরাহ করবে এবং শীতকালে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকবে না। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে বিশেষজ্ঞরা তিন-চার ঘণ্টা অন্তরই অল্প অল্প খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।
২। অনেকেই জলখাবার খান না। ভাবেন ক্যালোরি কমানোর এটি দুর্দান্ত উপায়। তবে এই অভ্যাস আসলে সারাদিন আপনাকে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খেতে বাধ্য করে। ফলে সকালের জলখাবার বাদ না দিয়ে দিনের পুষ্টিকর শুরুর জন্য ফল এবং কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার এবং অল্প কিছু ফল খেলে উপকার হবে বেশি। শীতে আপনি ওজন বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন এ ভাবে।
৩। ছুটির মরসুমে অনেকেই রান্না এবং বেকিংয়ে অনেক সময় ব্যয় করেন। আশ্চর্য লাগলেও এই অভ্যাসও ওজন বাড়াতে পারে কারণ রান্না করতে করতে খাবার চেখে দেখার অভ্যাস আমাদের সকলেরই রয়েছে কম-বেশি। তা করতে করতে কখন যে নিয়ম করে তৈরি ডায়েটের বাইরে চলে যাচ্ছেন নিজেই আপনি ধরতে পারবেন না। ফলে এই ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার। খালি পেটে বা খিদের মুখে রান্না করবেন না। কারণ সেই সময়ে নিজের রান্না চেখে দেখতে গিয়ে আপনি পরিমাণে অনেকটাই খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন।
৪। আপনি যদি একটি ছোট থালায় খান, তবে তা আপনার ওজন বাড়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে না। কারণ খাবারের থালা বড় হলে সেখান থেকে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং, একটি ছোট প্লেট খাবার শরীর ঠিক রাখার সহজ উপায় হতেই পারে।
৫। মাখন এবং চিনির পরিবর্তে ভ্যানিলা, বাদাম, তাজা লেবু, শীতের মরসুমী ফল ইত্যাদি বেশি খান। দুগ্ধ-ভিত্তিক পানীয়, ভারী ক্রিমের পরিবর্তে কম ফ্যাট বা স্কিমড মিল্ক রান্নায় ব্যবহার করুন। ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রনেই।