ছবি: সংগৃহীত
আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রের নিয়োগ দেওয়া আইনজীবী আমিনুল গনি টিটোকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় তার নিয়োগ বাতিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে আইনজীবী টিটোর এক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সমালোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার, ২৫ জুন সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই মামলার শুনানির সময় আইনজীবী টিটো শুনানি করতে চান বলে আদালতকে জানালে, তার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাকে শেখ হাসিনার মামলা থেকে সরে যেতে বলেন।
এসময় আদালতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তার দেওয়া ফেসবুক পোস্টের কথা স্বীকার করেন টিটো। পরে এই মামলায় ঢাকার বিশেষ আদালতের সাবেক পিপি আমির হোসেনকে এই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে ট্রাইব্যুনাল।
পরে আইনজীবী টিটো সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওটি (ফেসবুক পোস্ট) আমার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, আর এটি পেশাগত। আমি আমার দিক থেকে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট দেখি না। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এই জিনিসটা প্রমাণ করার একটা সুযোগ আমার ছিল। আজকে শুনানিটা হলে এটা প্রমাণ করার সুযোগ ছিল যে আমি আইনজীবী হিসেবে কতটা ক্লায়েন্টের স্বার্থ সংরক্ষণ করি।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এম এইচ তামিম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় আসামি শেখ হাসিনা এবং বুলবুল সাহেবের পক্ষে আমিনুল গণি টিটো সাহেবকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি আজকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, সম্মান দেখানোর জন্য। কিন্তু ওনার ব্যাপারে একটা ইস্যু জানতে পেরে তিনি ট্রাইব্যুনাল থেকে এই মামলায় নিজেকে প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।’
এদিকে আদালত অবমাননার এই মামলার নিযুক্ত অ্যামিকাস কিউরি এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে মামলার প্রস্তুতির জন্য ১ সপ্তাহ সময় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল ১। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ জুলাই।