শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত একটি প্রাক-ঘোষিত সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্তরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেচ্ছাদ) স্থানীয় কর্মী-সমর্থক।
চোখে পড়ার মতো উত্তেজনা সৃষ্টি হয় চকরিয়া পৌরসভার জনতা শপিং সেন্টারের সামনে, যেখানে একটি ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করে এনসিপি সমাবেশ আয়োজন করছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি দল এসে হঠাৎ করে মঞ্চটি ভেঙে ফেলে, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে এবং ট্রাকটির সামনের কাচ ভাঙচুর করে।
ঘটনার পেছনে কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, কক্সবাজারে আয়োজিত এক সভায় এনসিপির জাতীয় সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজারের প্রভাবশালী নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন।
ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এনসিপির চকরিয়া উপজেলা সমন্বয়ক খায়রুল বাশার বলেন, “বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের সমাবেশস্থলে হামলা চালায়। তারা আমাদের মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং সমাবেশ ঠেকাতে চায়। এটি গণতান্ত্রিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ।”
ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ দল সেখানে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয় যে, এনসিপির মতো নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এবং বিএনপির মতো প্রতিষ্ঠিত দলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে চলেছে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় রাজনৈতিক আনুগত্য প্রবল।
নতুন দল এনসিপি সম্প্রতি কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে এবং বড় দলগুলোর প্রচলিত বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এনসিপির নেতারা নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সব রাজনৈতিক দলের জন্য শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।