বিএনপি ক্ষমতায় যেতে অন্য শক্তির উপর নির্ভর করে: ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী

ইউএনবি

জানুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে অন্য শক্তির উপর নির্ভর করে: ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে সবসময় অন্য শক্তির উপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘যখনই নির্বাচনের সময় আসে তারা (বিএনপি) অন্য কোনো শক্তি খোঁজে যারা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে।’

বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে সফররত ব্রিটিশ ক্রস পার্টির সংসদীয় প্রতিনিধিদল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- পল স্কুলি, নিল কোয়েল ও অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে নজরুল ইসলাম বলেন, যখনই বিএনপি তাদের ক্ষমতায় বসানোর কাউকে পায় না, তখনই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে। তারা সবসময় মনে করে, কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।’

তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়াই তাদের সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে একজন সামরিক লোককে বসিয়েছিল এবং এই ব্যক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে বাংলাদেশ শাসন করেছে অগণতান্ত্রিক শক্তি।

প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় দেশে গণতন্ত্র ছিল না। ফলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি।’

তিনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতৃত্ব নেই এবং তারা সাধারণত লন্ডন থেকে নির্দেশনা পায়। ‘ফলে ২০০৮ সালের পর তারা আন্তরিকভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করে।’

২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও একটি আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছিল দলটি।

তিনি বলেন, ‍‍`শেষ পর্যন্ত যখনই তারা মনে করেছে যে তারা নির্বাচনে জিততে পারবে না, তখনই তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট পায় ৩০টি আসন এবং আওয়ামী লীগ পায় ২৩৩টি আসন। এতে প্রমাণিত হয়, গণমানুষের মধ্যে বিএনপির কোনো ভিত্তি নেই।’

তিনি বলেন, বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ভোট দিয়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‍‍`জনগণ বিএনপির ভোট বাতিল করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।’

Link copied!