মে ৩১, ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সরকার যদি ডিসেম্বরের পর নির্বাচন আয়োজন করতে চায়, তাহলে তার পক্ষে অন্তত একটি যৌক্তিক কারণ প্রকাশ করা উচিত।
শনিবার রাজধানীতে কৃষক দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জনগণ এখন চায়, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হোক। এই সময়সীমা অতিক্রম করার পেছনে কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা নেই।
সরকার যদি এমন কোনো যুক্তি দেখাতে পারে, তাহলে তা জনসমক্ষে তুলে ধরা হোক।
আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে তিনি দাবি করেন, এসব আলোচনার আহ্বান কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে, কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই।
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, যারা নির্বাচন চায় না, তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের দেশদ্রোহী ও বিদেশি এজেন্ট বলে অপবাদ দিচ্ছে।
অথচ যারা গত ১৭ বছর ধরে নির্বাসন, নির্যাতন ও কারাবাস সহ্য করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে গেছে, আজ তাদেরই রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা প্রকৃত গণতান্ত্রিক লড়াইকে কলঙ্কিত করছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যকে দুর্বল করতে দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। একটি মহল নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কিংবা আবারও ফ্যাসিবাদকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এই ঐক্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে।
নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেও প্রধান উপদেষ্টা তাতে সাড়া দিচ্ছেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৪ মে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।