জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কার দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচন হলে দেশের মঙ্গল হবে। এই সরকার যতদিন থাকবে, সমস্যা ততো বাড়বে। কারণ এরা নির্বাচিত নন। তাই সরকারকেই সেটি চিন্তা করতে হবে।
বিএনপিও সংস্কার চায় বলে এসময় মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। বলেন, দুই বছর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ, বিচারবিভাগসহ নানা সংস্কারের কথা তুলে ধরেছেন। এখন মানুষ সেই সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
‘এই সরকারকে সংস্কার যৌক্তিক সময়ে করতে হবে। এমন যেন না হয়, মানুষ যেন না ভাবে- বর্তমান সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়,’ যোগ করেন তিনি।
একইসঙ্গে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইলে শেখ হাসিনার পরিণতির কথাও মনে করিয়ে দেন মির্জা ফখরুল।
তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নাই। তারা স্ট্রাইকার ছিল। গোলে শেষ লাথিটা তারাই মেরেছে।
‘তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনোভাবেই দূরত্ব তৈরি করা যাবে না। তবে আমরা এমন কাজ যেন না করি, যাতে দেশে আবারও অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।’
আরও পড়ুন: অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচন: ড. ইউনূস
সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং দেব। তবে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বসে আছে। তারা সংস্কার করতে দেবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখছি না। এগুলো দৃশ্যমান করুন।