২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দরিদ্র্যমুক্ত, স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাহআল্লাহ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন এলেই মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ এবং উন্নয়নবিরোধী একটি চক্র ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে সক্রিয় হয়ে ওঠে। নির্বাচনে কূটকৌশল অবলম্বন বা কারচুপির মাধ্যমে কিংবা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে তারা আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে। সফল না হলে জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিশোধস্পৃহায়।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট পাবে না—এটা বুঝতে পেরে আগে থেকে এবার তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। হরতাল-অবরোধের নামে যানবাহন পোড়ানো, মানুষ হত্যা, রেললাইন উপড়ে ফেলাসহ বিভিন্ন নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। মা ও শিশুর অগ্নিদগ্ধ লাশ সবার বিবেককে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছে। এ ধরনের হীন কাজ আর সহ্য করা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আবারও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে একটি বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করেছি। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে যে ইশতেহার আমরা দিয়েছিলাম, সফলভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি। ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনাগুলোর ধারাবাহিকতা দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহারেও রক্ষিত হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির প্রেসিডিয়াম ড. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দলের শীর্ষ নেতারা ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতায় আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। এ বিষয়গুলোসহ দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইশতেহারে যে ১১ বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে-

১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

Link copied!