ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ কথা বলার সুযোগ দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ভারত তাকে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় দিয়েছে, সেটা দিতেই পারে। কিন্তু তাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া যে, সে বলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে…পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে উনি উসকানি দিচ্ছেন, একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তাকে সমর্থন করছেন ভারতের নীতিনির্ধারকেরা। এটা অদ্ভুত ব্যাপার।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এটা তো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ, ভয়ংকর রকমের হস্তক্ষেপ। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ওপর আরেকটি রাষ্ট্রের এ রকম অবস্থান—এটা তো চরমভাবে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমার অবাক লাগে, ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেখানকার গণমাধ্যম ও কিছু সাংবাদিক এমন নির্লজ্জের মতো বয়ান তৈরি করছে, শেখ হাসিনা যেমনটি করেছেন, সেই ফ্যাসিস্টদের পক্ষ অবলম্বন করে এই বয়ান তৈরি করছে। তাতে মনে হচ্ছে, অনেক দিনের গুপ্তধন তারা যেটা সঞ্চয় করেছে, সেই গুপ্তধন যেন হাতছাড়া হয়ে গেছে।’
শেখ হাসিনার পাশাপাশি ভারতের নীতিনির্ধারকেরাও বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিকাশের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এটা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে তো এটা আমরা আশা করতে পারি না।’
গণতান্ত্রিক শক্তির সপক্ষের লোকদের সতর্ক পদক্ষেপ রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো নৈরাজ্যের কারণে কেউ যাতে কোনো সুযোগ নিতে না পারে। এটাও মনে রাখতে হবে, প্রতিবিপ্লব উঁকিঝুঁকি মারে সব সময়, এই উঁকিঝুঁকি যাতে দিতে না পারে।
এখন সমালোচনা করলে গুম বা ক্রসফায়ারের ভয় আর নেই উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আমরা সরকারের সমালোচনা করব, কিন্তু সরকারকে ব্যর্থ হতে দেব না।’
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের ওপর লেখা জি এম রাজিব হোসেনের ‘দ্রোহের গ্রাফিতি’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী ও সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।