জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ভব্যিষত প্রজন্মকে স্মার্ট, দক্ষ করে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথা বলেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এজন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং দক্ষ নাগরিক তৈরিতে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এক সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। দিনাজপুরের-২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পুন:নির্বাচিত হওয়ায় তাকে তাঁকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এ সময় পরপর চারবার সাংসদ নির্বাচতি করায় দিনাজপুর-২ নির্বাচনী এলাকার ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আপনাদের ভালোবাসা আমার চলার পথে পাথেয়। আপনারা পরপর চারবার নির্বাচিত করায় কতৃজ্ঞতার কোনো শেষ নেই। আপনাদের এই ভালোবাসার কাছে আমি চিরঋনী। আমার মহান নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে ঋনী, যিনি ২০০৮ সালে প্রথম নৌকা মার্কা দিয়ে আাপনাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।”
দিনাজপুর-২ আপামর জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা আরো উপরে তুলে নিতে চাই। আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান। আমি নির্বাচনী প্রচারনার সময়ে আমি আমার ছাত্র, যুবক, তরুনদের আহ্বান জানিয়েছি, আগামী সময়গুলো হচ্ছে তোমাদের সময়।”
এ সময় মন্ত্রীকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা জানাতে যারা আসেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাকে শুভেচ্ছা জানানো তখনই সার্থক হবে, যখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নাগরিক তৈরি বের হবে।”
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যার যার জায়গা থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা আহ্বান জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, “এই বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার আছে, প্রত্যেকটি মানুষের করনীয় আছে। আমরা যে যে জায়গায় কাজ করছি,আমরা যেন সেই জায়গাগুলোতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে, নিষ্ঠার সঙ্গে যেন কাজ করি।”
খালিদ মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ৩০ লক্ষ শহীদ রক্ত দিয়েছে। তাঁরা আমাদের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা দিয়েছে। জাতির পিতা দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সেই বিপ্লবের হাল ধরে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন। সেই মুক্তি সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে।”
এর আগে প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানায় শতাধিক ফুলের তোড়া নিয়ে আসা বিভিন্ন সংগঠন।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিকি সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, থানার ওসি গোলাম মাওলা, বিরল উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আবুল কাশেম অরু, ডেপুটি কমান্ডার রহমান আলীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মন্ত্রীকে।