মে ৩১, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল থাকলেও, শুধু ৫ আগস্টের পর গঠিত দলগুলোই এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায় না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা জনগণ আর কীভাবে দেবে?” নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা জানতে চায়—নির্বাচন কবে? সবাই সিদ্ধান্তহীনতায় আছে। অপেক্ষা করছে তারিখ ঘোষণার।”
আমীর খসরু দাবি করেন, অন্তত ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। “যদি কেউ বলে, শুধু একটি দল নির্বাচন চায়, তাহলে সেটি কি সঠিক কথা? এমন বক্তব্য দিয়ে আসলে কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে?”
তিনি বলেন, “হাতে গোনা কয়েকটি ছোট দল ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। এই দলগুলো এখনো নিবন্ধিতও না। তাদের দেশের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।”
ওয়ান-ইলেভেনের পর যেমন ‘কিংস পার্টি’র জন্ম হয়েছিল, তেমন নতুন দলগুলোর অস্তিত্ব গণতন্ত্রের পথে বাধা তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সংযোগ নেই দাবি করে আমীর খসরু বলেন, “এখন যার যা ইচ্ছা, তাই করছে। এভাবে চলতে পারে না। এর থেকে মুক্তির একমাত্র পথ—নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সংসদ।”
তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একসুরে দাবি জানাতে।
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর বড় পরিবর্তন এসেছে। যে দল বা রাজনীতিবিদ এটা বুঝবে না, তাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে নেই।”
বিএনপি ক্ষমতায় এলে অতীতের ফ্যাসিবাদ যেন ফিরে না আসে—এমন আহ্বান জানিয়ে তিনি নেতা-কর্মীদের বলেন, “স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের যে চেতনা নিয়ে আপনারা লড়াই করেছেন, তা যেন ক্ষমতায় গেলেও বজায় থাকে।”
জিয়াউর রহমান জনগণকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে সম্পৃক্ত করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নতুন প্রজন্ম স্বপ্ন দেখতে চায়। আমাদের সে স্বপ্ন দেখাতে হবে, বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে, জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম। বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার।