মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীর হলে সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ছাত্রশিবির কমিটির সব জঙ্গিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
অযৌক্তিক এই সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে খুব দ্রুত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মরা কমিটি গঠন করে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বুয়েট প্রশাসনকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে বাধ্য করবে বলে ঘোষণা দেয় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দাবি অনাদায়ে বুয়েট ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করবে সংগঠনটি।
মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্রদলসহ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শিবিরের কমিটি গঠন করা হলেও এ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিবাদ করছে না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি প্রত্যাহারের বিষয়টিকে একটি স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো ১৯৬২ সালে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। পাকিস্তান কখনও এই দেশে ছাত্র রাজনীতির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিরপেক্ষ নয়। স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি নাতনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হলে তাদের আদর্শিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এছাড়া বুয়েট প্রশাসন একটি বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। বুয়েট প্রশাসন যারা চালাচ্ছেন তাদের মুখোশ পুরো জাতির সামনে উন্মোচন করা হবে।’
আল মামুন বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি অধ্যাদেশে ছাত্র রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করা স্বৈরতান্ত্রিক, অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি নাতনিদের নিয়ে শীঘ্রই কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটির বিরুদ্ধে কেউ কোনো বক্তব্য দিলে তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও পারিবারিক ইতিহাস পুরো জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।’
তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এক্ষেত্রে বুয়েটে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনায় বসবেন না বলে জানিয়েছেন আল মামুন।