বেটা
এপ্রিল ৭, ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলা ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় সারা দেশ তোলপাড়। ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা করা দরকার তাই করা হবে।’ এদিকে কেএনএফের দুজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিজ ঘরে আলমারির ভেতর লুকিয়ে ছিলেন তিনি। র্যাবের বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
সাম্প্রতিক বান্দরবান সংশ্লিষ্ট ঘটনার সমালোচনা করতে ছাড়েননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘বান্দরবানের ঘটনাই প্রমাণ করে দেশের নিরাপত্তা কতটা ভঙ্গুর।’
রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আন্দোলন সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সীমান্ত আজ ভয়াবহভাবে আক্রান্ত। কিন্তু সরকার এই সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। বান্দবানে কারা হামলা-লুটপাট করছে, তা ঠিকভাবে বলেতেই পারছে না সরকার। যখন কোনো ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়, তখনই সরকার জঙ্গি খুঁজে পায়।’
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। বুয়েটের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাসীনরা তাদের নগ্ন থাবা বসিয়েছে। এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যেখানে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য নেই।’
দলের নেতাকর্মীদের চাঙা করে তুলতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কষ্টকে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। তারপর সবাইকে এক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবোই।’
