প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার এবং বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের পাঠানো কোনো চিঠি তারা পাননি।
এই বক্তব্য এসেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে, যেখানে বলা হয়—টিউলিপ সিদ্দিক অধ্যাপক ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য একটি চিঠি দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগকে "ভুল–বোঝাবুঝি" হিসেবে অভিহিত করে সেটির মীমাংসা চেয়েছেন।
অধ্যাপক ইউনূস আগামীকাল সোমবার (৯ জুন) লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরে আসবেন।
এই প্রসঙ্গে রোববার বিকেলে শফিকুল আলম বলেন, “আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি। ৫ জুন থেকে আমরা ছুটিতে আছি।”
দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনামলে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরাতে বলা হয়, টিউলিপ ও তাঁর মা শেখ রেহানার নামে ৭,২০০ বর্গফুটের একটি প্লট গ্রহণে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগ এসেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পটভূমিতে। গত বছরের আগস্টে গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতিত হয়।
এরপর তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে।
টিউলিপ সিদ্দিক এসব অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন এবং তাঁর আইনজীবীরা অভিযোগগুলোকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত টিউলিপের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে।
ংয়এ ছাড়া তিনি পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামি, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়িক মহলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।