জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০২:০৪ এএম
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছেন বাংলাদেশ সরকার। অবশ্যই মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশে দমনমূলক প্রবণতা পরিহার করতে হবে এবং অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির দিকে ঝুঁকতে হবে। এজন্য বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভোটের আগে কয়েক মাস ধরে হাজার হাজার বিরোধী সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা বা ভয় দেখানো, সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মীদের ওপর হামলা এবং হয়রানি; এসব খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। যা সাম্প্রতিক নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তারা বলেন, নির্বাচনের আগে প্রায় ২৫ হাজার বিরোধী সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর বলপ্রয়োগ করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কেবল নির্বাচনী সহিংসতায় ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। অথচ এসব সহিংসতার কোন স্বাধীন তদন্ত হয়নি।
বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল আস্থার অভাবে নির্বাচন বয়কট করেছে। ভোটারদেরকে ভোট দিতে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। এমনকি ভোট না দিলে নানা ধরনের সহিংসতা এবং সামাজিক সুরক্ষার সুবিধাগুলো হারানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তারা বলছেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। তাদেরকে স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছি।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশকে তার গতিপথ পরিবর্তন এবং সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন।