গুরুবাস পর্যটনের ‘শুভেচ্ছা দূত’ চিত্রনায়িকা শাহনূর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৫, ২০২১, ০৭:০৪ পিএম

গুরুবাস পর্যটনের ‘শুভেচ্ছা দূত’ চিত্রনায়িকা শাহনূর

গুরুবাস পর্যটনের ‘শুভেচ্ছা দূত’ হলেন চিত্রনায়িকা শাহনূর। বাংলাদেশ প্রথম পর্যটন গ্রাম চারিপাড়ায় ‘গুরুবাস পর্যটন’ শীর্ষক পর্যটনের একটি নতুন দর্শনধারার (School of Thought) সূচনা করা হচ্ছে, যার কারিগরি সহায়তা করছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশন। শুভেচ্ছা দূত হিসেবে শাহনূর তাঁর ভ্রমণস্থলে, কর্মস্থলে বা অন্য কোন স্থানে উপস্থিতির সময় গুরুবাস পর্যটনের উদ্দেশ্য ও দর্শনের প্রতি সকলকে অবহিত করবেন। রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিত্রাভিনেত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনূরকে এই দূত হিসেবে নিয়োজিত করা হয়।

পর্যটনের মাধ্যমে সমাজের বিশুদ্ধতা

গুরুবাসের মূল বক্তব্য হলো জীবন, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির কাছ থেকে গৃহিত শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। তাই প্রতিটি পর্যটক শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী। পর্যটন নিভৃত পল্লীতে জীবনযুদ্ধে উত্তীর্ণ মানুষকে গুরু হিসেবে নতুন মোড়কে উপস্থাপন করবে। যেমন শস্যগুরু, মৎস্যগুরু, খাদ্যগুরু, ধর্মগুরু, শিল্পগুরু, গল্পগুরু, পর্যটনগুরু ইত্যাদি। গুরুবাস পর্যটন একটি শিক্ষা দর্শন যা স্থানীয় মানুষের পরীক্ষিত জীবনধারা থেকে উৎসারিত। গুরুবাসের মৌলিক চেতনা হলো দায়িত্বশীল পর্যটনের মাধ্যমে মানুষ ও সমাজের মধ্যে বিশুদ্ধতা, স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা।

উন্মুক্তের অপেক্ষায় প্রথম পর্যটন গ্রাম

গ্রামীন পর্যটনকে জাতিসঙ্ঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা টেকসই উন্নয়ন অভীক্ষা ২০৩০ অর্জনের অন্যতম নিয়ামক বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে। অধিকন্তু এই সংস্থার মহাসচিব পর্যটন বিশ্বজুড়ে গ্রামীণ সম্প্রদায়ের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনের চালক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। বিষয় বিবেচনায় সম্প্রতিকালে বারবাড়ীয়া পর্যটন শিল্প সমবায়  সমিতি লিমিটেড গঠিত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে, এই সমিতির প্রথম প্রকল্প হিসেবে  প্রথম পর্যটন গ্রাম চারিপাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে অর্থাৎ বিশ্ব পর্যটন দিবসে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।  সমবায় বর্ষ ২০২১-২০২২-এ গ্রামের মানুষের জীবনধর্মী শিক্ষা দিয়ে নির্মিত পর্যটনের অভিজ্ঞতা প্রডাক্টগুলি স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের হাতে তুলে ধরবে এই পর্যটন গ্রাম। 

সমিতি ও ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ আশা করেন যে, গুরুবাস পর্যটন দেশের পর্যটনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সৃজন ও সংরক্ষণে অবদান রাখবে। একই সাথে দূর্লভ প্রাকৃতিক মূলধনের মালিকানা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়ে তাদেরকে ক্ষমতায়িত করবে। সর্বোপরি সমবায়ী মালিকানার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে একটি সাম্য ও সংযুক্তিমূলক সুখময় সমাজ।

Link copied!