বলিউড বা হিন্দি চলচ্চিত্রকে পেছনে ফেলে ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দক্ষিণী তামিল, তেলেগু ও কানাড়া ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো। দক্ষিণী এসব চলচ্চিত্রগুলো দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে নানাবিধ কারণ রয়েছে।
গত ২ বছরের সাফল্য ও দর্শক উন্মাদনা থেকে এটা আঁচ করাই যাচ্ছে। দর্শকদের চাহিদার মূলে রয়েছে এখন দক্ষিনি সিনেমা। উত্তর ভারতের বিশাল ব্যানার বলিউড সিনেমার জায়গা কি তাহলে দখল করে নিচ্ছে দক্ষিনি সিনেমা?
২০১৭ সালের মে মাসের শুরুর দিককার কথা? মুখে মুখে ঘুরছিল আমরেন্দ্র বাহুবালি, কাটাপ্পা, ভাল্লালদেভ এর মত নাম। বাহুবালি ২ নিয়ে তৈরি হয়েছিল চরম উত্তেজনা।
ফিরে যাওয়া যাক ২০২২ সালে। ‘আরআরআর’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর আবারও উত্তেজনা। একরকম নিজের সাথেই প্রতিদন্দিতায় নাম লেখালেন পরিচালক এস এস রাজামৌলি। অন্যান্য দক্ষিণী ভাষায় ডাব হওয়ার পাশাপাশি হিন্দি ভাষাতেও ডাব হতে শুরু করে এই চলচ্চিত্রগুলো।
কিন্তু দক্ষিণী চলচ্চিত্রের উত্থানের নেপথ্যে আসলে কোন কারনটি সবচেয়ে বেশি জোরালো? সিনেমা সমালোচকদের মতে, এর একটি কারণ অবশ্যই নানাবিধ বিষয়বস্তু দর্শকরা যেমন একদিকে আর আর আর, কেজিএ, বিক্রম কিংবা পুষ্পার মত লার্জার দ্যান লাইফ হিরোইজম পছন্দ করছেন, তেমনি পছন্দ করছেন ৭৭৭ চার্লি, মেজর বা রকেট্রির মত কন্টেন্টভিত্তিক চলচ্চিত্র।
তবে চলচ্চিত্র সমালোচকরা বলছেন, দক্ষিণী চলচ্চিত্র দর্শকের মনে জায়গা করে নেবার আসল রহস্য হল, এগুলো হচ্ছে মৌলিক সিনেমা। গত কয়েক বছরে বলিউড কেবল দক্ষিণী ছবির রিমেক, প্রোপাগন্ডাধর্মী ছবি আর বায়োপিক নিয়ে কাজ করেছে। অরিজিনাল কন্টেন্টের পাশপাশি জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তাই এগিয়ে আছে দক্ষিণী চলচ্চিত্র।