রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১১, ২০২১, ১২:৫৫ পিএম

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই

না ফেরার দেশে চলে গেলেন সংগীতশিল্পী মিতা হক। রবিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। করোনা নেগেটিভ হয়েছিলেন কিছুদিন আগেই। কিন্তু তারপরও বিদায় নিলেন এই সংগীতশিল্পী। এদিন বেলা ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ ছায়ানটে নেওয়া হবে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন মিতা হক। তবে চার দিন আগে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল তার। তাকে বাসায় নিয়ে আসার পরে হঠাৎ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিতা হক পাঁচ বছর ধরে কিডনি রোগেও ভুগছিলেন। নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিয়ে ভালোও ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েন। অবশেষে আর লড়াই করতে না পেরে চলে গেলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। ছায়ানট থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায়, বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।

মিতা হক ১৯৬২ সালে সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত শক্তিমান অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার চাচা দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক। মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী।

১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিতা হক। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

Link copied!