অভিনেতা আফরান নিশোর বড় পর্দায় অভিষেক হলো রায়হান রাফি পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। সিনেমাতে নিশো`র বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই সিনেমার প্রশংসা করলেও কিছু দৃশ্য ও সংলাপ নিয়ে ক্ষোভও ঝাড়লেন দর্শক।
এই সিনেমার প্রতিটি চরিত্রেরই প্রাণ কেন্দ্র ছিল গল্প। প্রেম, রহস্য, বাস্তবতা আর জীবনের সত্য ঘটনাই ফুটে উঠেছে এতে। সোজা বাংলায় পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’। প্রেম, বিচ্ছেদ, প্রতিশোধ, হালকা কমিক রিলিফ, রোমান্টিক গানের পাশাপাশি আইটেম গান, নিম্নবিত্ত সমাজ ব্যবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যভিচার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছুই আছে।
প্রথম হাফে রোমান্টিক গল্প মনে হলেও দ্বিতীয় হাফে যেতে যেতে সুড়ঙ্গ একটি পরিপূর্ণ থ্রিলার ও সাসপেন্স সিনেমা হয়ে উঠে। কিন্তু গল্পের প্রয়োজনে, অথবা দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নির্মাতা যে অশ্লীল দৃশ্য জুড়ে দিয়েছেন তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে কিছু কিছু দর্শকের। তাদের বক্তব্য, এই অংশগুলো এতোটা সময় না নিয়ে দেখালেও সমস্যা হতো না।
অনেকেই বলছেন সিনেমাটি ‘বাচ্চাদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে দেখার মত সিনেমা এটি না। সিনেমাটি পুরোটাই নেগেটিভ।’
আরেক দর্শক বলেন, ‘সিনেমা দেখে একটা ভালো অনুভুতি নিয়ে বের হওয়ার কথা, অথচ খুব অস্বস্তির মধ্যে আছি।’
অপর এক দর্শক বলেন, ১৮+ কিছু দৃশ্য ছাড়া সিনেমাটা দারুন বানিয়েছে। নিশোর প্রশংসা করতেই হয়। তমা মির্জা চরিত্রকে পুরো ধারণ করতে পেরেছে। শহীদুজ্জামান সেলিমের অভিনয় নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। মেকিং খুবই ভালো ছিল।’
কেউ কেউ আবার এসব বক্তব্যকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। তাদের দাবি হলিউড, বলিউড সিনেমায় এমন দৃশ্য দেখলে সমস্যা হয় না কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমাতে থাকলেই কিছু মানুষ এমন মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, আফরান নিশো ও তমা মির্জা জুটির প্রথম সিনেমা এটি। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেও দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখছেন। দর্শকদের ভিড় ও চাপের জন্য শো বাড়ানো হয়েছে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার অধিকাংশ শো হাউসফুল যাচ্ছে।