অভিনয়ে আমরা কম-বেশি অনেকেই বলিউড তারকাদের সুপটু হিসেবে পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্যে ও মননেও রয়েছেন তাদের অনেকে। এমন অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী রয়েছেন যারা অভিনয়ের পাশাপাশি চমক দেখিয়েছেন লেখালেখিতেও। অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে বই লিখেছেন, বলিউডের এমন ৮ তারকার সঙ্গে আজ আপনাদের পরিচয় করাবো-
আলিয়া ভাট
প্রথম বই প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বইটি একটি শিশুতোষ বই, যার নাম ‘অ্যাড ফাইন্ডস আ হোম’। এটি তার ‘অ্যাড-আ-মাম্মা’ ইউনিভার্সের প্রথম বই।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এখন গ্লোবাল আইকনে পরিণত হয়েছেন। লেখকের তালিকায়ও নাম লিখিয়েছেন বিখ্যাত এই অভিনেত্রী।
তার লেখা ‘আনপিরিশড’ বইটিতে ভারতে তার শৈশব, বলিউডে যাত্রা, হলিউডে কাজের অভিজ্ঞতা প্রভৃতি নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।
গৌরী খান
শাহরুখপত্নী গৌরী খান তার সিনেমা প্রোডাকশন এবং দুর্দান্ত ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য বহুল প্রশংসিত। তবে তার লেখা দারুণ একটি বই হলো ‘মাই লাইফ ইন ডিজাইন’।
টুইঙ্কেল খান্না
বলিউডের অন্যতম মেধাবী অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না তার বুদ্ধিমত্তা ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন লেখার জন্য প্রশংসিত। টুইঙ্কেল অনেকগুলো বই লিখেছেন। এর মধ্যে ‘মিসেস ফানিবোন্স’ ও তার সদ্য প্রকাশিত ‘ওয়েলকাম টু প্যারাডাইস’ উল্লেখযোগ্য।
ইমরান হাশমি
বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ইমরান হাশমি। ‘দ্য কিস অব লাইফ: হাউ আ সুপারহিরো অ্যান্ড মাই সন ডিফিটেড ক্যান্সার’ বইটি লিখেছেন তিনি।
বইটি অনেকটা অটোবায়োগ্রাফি বা আত্মজীবনীমূলক, এতে তিনি তার পারিবারিক জীবন ও তার ছেলের ক্যান্সার শনাক্তের পর ও চিকিৎসার সময় যে কঠিন সময় পার করেছেন তা বর্ণনা করেছেন।
হুমা কুরেশি
কিছুদিন আগে বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি ‘জেবা: অ্যান অ্যাকসিডেন্টাল সুপারহিরো’ শিরোনামের একটি বই প্রকাশ করেছেন।
চমৎকার একটি ফিকশন এটা। এতে একটি মেয়ে একজন খারাপ মানুষের ‘শয়তানি’ ইচ্ছা থেকে বসুধাকে রক্ষার লড়াইয়ের কাহিনি উপস্থাপন ককরা হয়েছে।
আয়ুস্মান খুরানা
একজন দুর্দান্ত অভিনেতা ও দারুণ কণ্ঠস্বর ছাড়াও, আয়ুস্মান খুরানার আরও একটি গুপ্ত প্রতিভা আছে। এটি হলো সুনিপুণ লিখতে পারেন তিনি। তার লেখা ‘মাই জার্নি ইন বলিউড’ বইটিকে বলিউডে কাজ করা বহিরাগতদের পরিস্থিতি নিয়ে লেখা অন্যতম সেরা বই বলে মনে করা হয়।
সোনু সুদ
বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ করোনাকালীন তার জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বহুল প্রশংসিত হয়েছেন। কেউ কেউ তাকে ‘মানুষ ঈশ্বর’ বলেও অভিহিত করেছেন।
এর কিছুদিন পরেই সোনু ‘আই অ্যাম নো মসিহ’ শিরোনামে একটি বই লেখেন।