ডায়ালাইসিস শেষে অবনতি, এরপর আইসিইউতে ফরিদা পারভীন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম

ডায়ালাইসিস শেষে অবনতি, এরপর আইসিইউতে ফরিদা পারভীন

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, এখন সপ্তাহে দুই দিন তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার সকালে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর প্রথম আলো।

জানা গেছে, ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। তার ডায়ালাইসিসও চলছে। ছেলে ইমাম নিমেরি উপল জানিয়েছেন, ‘আম্মাকে ডায়ালাইসিস করতে নিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। তারপর তো আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়।’

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, ‘আজ দিনের যেকোনো সময় আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে ফরিদা পারভীনকে। তবে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা জটিল। কিডনি জটিলতার পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্টসহ আরও নানা সমস্যা আছে। আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। তার সুস্থতার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি।

এর আগে ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম বলেছিলেন, ‘সার্বিকভাবে তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে চারবার আইসিইউতে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ফুসফুস আর কিডনিজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল থাকে। উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি পান না। হাঁটতেও পারেন না। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েড জটিলতা রয়েছে তার। বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।

১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে লালনসংগীতে তালিম নেন এবং ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি।

সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন ‘অচিন পাখি স্কুল’।

Link copied!