বেটা
ভারতীয় নায়িকা স্বস্তিকা
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা। ১ দফা দাবিতে রাজপথ উত্তাল। কোটা বাতিলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ ও সংহতি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ইউটিউবাররা।
এবার কোটা সংস্কার ইস্যুতেই একাত্মতা পোষণ করেছেন দেশের বাইরের তারকরাও। সম্প্রতি কোটা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়ে ভারতীয় এই নায়িকা লেখেন, প্রায় ১ মাস হলো আমি নিজের দেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের খবরের চ্যানেলে তৃতীয় বিশ্বের কোনও খবরই খুব একটা প্রকাশ হয় না। আর আমি খুব একটা ফোনের পোকা নই তাই এত খারাপ একটা খবর কানে আসতে দেরি হলো।
বাংলাদেশের স্মৃতিচারণ করে স্বস্তিকা ফেসবুকে লিখেছেন, “এই তো কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ গেলাম, খুব ইচ্ছে ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার। চারুকলা যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, জীবনের একটা স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। প্রতিবার আসি, ব্যস্ততায় যাওয়া হয় না, মাও খুব যেতে চাইতেন বাংলাদেশ, নিয়ে যাওয়া হয়নি, কিন্তু আজ একটা ভিডিও দেখলাম, গুলির ধোঁয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত। ছাত্র বয়স গেছে সেই কবে, তবে জাহাঙ্গীরনগর আর আমার যাদবপুর খুব কাছাকাছি। কাঠগোলাপের গাছগুলোও কেমন এক রকম। এক রকম আকাশের মেঘগুলোও। আজ শুধু ওখানে বারুদের গন্ধ।”
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘আন্দোলন’ নামে কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার পঙ্কতি উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন: ‘ময়দান ভারী হয়ে নামে কুয়াশায়/ দিগন্তের দিকে মিলিয়ে যায় রুটমার্চ/ তার মাঝখানে পথে পড়ে আছে ও কি কৃষ্ণচূড়া?/ নিচু হয়ে বসে হাতে তুলে নিই/ তোমার ছিন্ন শির, তিমির।’
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেছেন, “এমন এক আপ্যায়নপ্রিয় জাতি দেখিনি, খাবারের নিমন্ত্রণ যেন শেষ হতেই চায় না, অমন সুন্দর করে সারা রাস্তা জুড়ে ভাষার আল্পনা আর কোথায় দেখবো? নয়নজুড়ানো দেয়াল লেখা? এ বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের শপথ নেওয়া একটা জাতির পক্ষেই সম্ভব। আজ, অস্থির লাগছে। আমিও তো সন্তানের মা। আশা করবো বাংলাদেশ শান্ত হবে। অনেকটা দূরে আছি, এই প্রার্থনাই করতে পারি। অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো- সেই আমাদের আলো। আলো হোক। ভালো হোক সবার।”
-20240907062815.jpeg)
-20240907025109.jpeg)
-20240906093557.jpeg)
-20240906053307.jpeg)
-20240814064214.jpeg)
-20240903040244.jpeg)
-20240901150308.jpeg)
-20240824074312.jpeg)