কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের ক্ষোভ

সজল খান

জুন ২১, ২০২৩, ১০:৫১ পিএম

কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের ক্ষোভ

আঁখি আলমগীর অসংখ্য শ্রোতাদের কাছেই একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীদের। গান-বাজনা নিয়েই তার সকল ব্যস্ততা। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই তাকে কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয়ও কথা বলতে দেখা যায়। সম্প্রতি তিনি কথা বলেন তেমনি একটা বিষয় নিয়ে। তিনি বলেন, ইদানিং ধন্যবাদ দেওয়ার চলটা উঠে গেছে। অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই কথাগুলো বলেন আঁখি। 

তার কথায়, ‘আমি ২০১৫ থেকে ফেসবুক ব্যবহার শুরু করি। তখন থেকেই আমি নিজের সঙ্গে সঙ্গে আমার সহকর্মী শিল্পীদের গান শেয়ার করা শুরু করলাম। বিশেষ করে যারা আমার চেয়ে বয়সে ছোট। আমার মনে হয়েছে, এটা করলে তাদের গানটা হয়তো আরও একটু বেশি পরিচিতি পাবে। তার যদি সে প্রয়োজন নাও থাকে, তাও তার ভালো লাগবে- এই ভেবে যে একজন সহশিল্পী তাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করছে। এটা পজিটিভ। পরে তারাও অনেকেই অনেক সময় আমার গান শেয়ার করেছে, মোটকথা এটা একটা গুড প্র্যাকটিস।’

আঁখি আরও বলেন, ‘এরপর আমি একেবারে রিলিজিয়াসলি জন্মদিনে ছবিসহ শুভেচ্ছা জানানো শুরু করলাম। আগেও যে হতো না, তা কিন্তু নয়। ছোট-বড় নির্বিশেষে আমি জন্মদিনে উইশ করতাম, এখনও করি। আমাকেও করেন অনেকে, যা আমার ভীষণ ভালো লাগার। আর আমি সবাইকে আলাদা এবং ঢালাওভাবে ধন্যবাদ দিই। এটা একটা ভদ্রতা।’

ধন্যবাদ দেওয়ার চলটা উঠে গেছে- এমন কথা বলার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ইদানিং লক্ষ করছি, ধন্যবাদ দেওয়ার চলটা উঠে গেছে। আমরা কেউ কি বিশাল কিছু হয়ে গেছি? আর হলেও এত বড় কবে হলাম যে, সামান্য ধন্যবাদ দেওয়ার প্রথা বা ভদ্রতা জ্ঞানটাও আর নেই? বিশেষ করে জন্মদিনে উইশ করার পরেও!

ব্যাপারটা এমন যে, তাকে উইশ করাটা কোনো বিগ ডিল না, সে এটার প্রাপ্য। না, আমরা যা দিই না, সেটা আর পাওনাও থাকি না। আর যা তোমার প্রাপ্য নয়, তা দিয়ে তোমার মাথা আরও নষ্ট না করাই ভালো বলে মনে করি।

Link copied!