বলিউডে আবারও করোনার থাবা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ভারতের নব্বই দশকের জনপ্রিয় শিল্পী এবং সঙ্গীত পরিচালক শ্রাবণ রাঠোর। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় মাহিমের এসএল রাহিজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাহিজা হাসপাতালের চিকিৎসক কৃতী ভূষণ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল করোনার লক্ষণ নিয়ে মাহিমের এসএল রাহিজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এই সংগীত পরিচালককে। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি। গত চারদিন ধরেই তার অবস্থা অতি সংকটজনক ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন শ্রাবণ রাঠোর। আগে থেকেই তিনি ডায়বেটিস ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণের কারণে তার ফুসফুস প্রায় বিকল হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, নব্বই দশকে অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুর এবন্মগ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শ্রাবণ রাঠোর। নাদিম আখতার সাইফির সঙ্গে জুটি বেঁধে করেছেন বহু কাজ। সেই থেকেই নাদিম-শ্রাবণ জুটির পরিচয়েই পরিচিত তারা। সে সময় মুক্তি পাওয়া ‘আশিকী’, ‘সাজান’, ‘সিরফ তুম’, ‘সড়ক’, ‘দিলওয়ালে’র মতো অজস্র জনপ্রিয় সিনেমার সুপারহিট গান কম্পোজ করেছেন এই জুটি।
শ্রাবণের মৃত্যুর বিষয়টি জানার পর থেকে শোকাহত তার সঙ্গী নাদিম। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি যে তার পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারছি না। আমার ভাইকে শেষবারের মতো দেখতে পারলাম না। একসঙ্গে বড় হয়েছি আমরা। কোনো দিন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হইনি। সে আর নেই। মেনে নিতে পারছি না, নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালে বলিউডে কাজ শুরু করেন তিনি। আশির দশকের শেষের দিক পর্যন্ত তেমন জনপ্রিয়তা পাননি। ১৯৯০ সালে গুলশান কুমারের ‘আশিকি’ ছবিতে কাজের সুযোগ পান নাদিম-শ্রাবণ খ্যাত এই জুটি। সেখান থেকেই পরিচিত পান তারা। এরপর বলিউডের অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমার গানের কাজ করেছেন তারা। একই সঙ্গে কাজ করেছেন অ্যালবামেরও।এর মধ্যে ‘সাজান’, ‘দিল হ্যায় কি মানতে নেহি’, ‘ফুল অর কাঁটে’, ‘দিওয়ানা’, ‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’, ‘রং’, ‘দিলওয়ালে’, ‘রাজা হিন্দু্স্তানি’, ‘পারদেশ’ কিংবা ‘ধাড়কান’এর মতো চলচ্চিত্রের গান রয়েছে। সংগীতে অবদানের জন্য এই পরিচালককে চারবার পুরস্কৃত করেছে ফিল্মফেয়ার।