মার্চ ৬, ২০২৩, ০৫:৫৫ পিএম
অভিনয়ের নৈপুণ্যে লাখো দর্শকের হৃদয়ে জয় করে নেওয়া দেশ বরেণ্য অভিনেত্রী ডলি জহুর। যিনি প্রায় চার যুগেরও বেশী সময় ধরে অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে রেখেছেন দর্শকদের। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র— এই তিন মাধ্যমেই সর্বদা সরব ছিলেন গুণী এই অভিনেত্রী। অসংখ্য কালজয়ী টেলিভিশন নাটক ও সিনেমাতে অভিনয় করে শিল্পী জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা।
সম্প্রতি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাথে কথা বলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডলি জহুর। সেই কথোপকথনের অংশবিশেষ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ: কেমন আছেন?
ডলি জহুর: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
দ্য রিপোর্ট: প্রায় চার যুগের বেশী সময় অভিনয়ের সাথে আছেন। কখনো কি এমনটা ভেবেছেন যে, অভিনয়কে বিদায় জানাতে হবে একটা সময়?
ডলি জহুর: অভিনয় থেকে বিদায় নেওয়ার কথা কখনো ভাবিনি। আমি অভিনয়ের সাথে আছি, যতদিন আমার কাজ করার মতো শক্তিসামর্থ্য আছে, দর্শকদের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
দ্য রিপোর্ট: আপনার অভিনয় জীবনের শুরুটা জানতে চাই।
ডলি জহুর: একেবারেই ছোট বেলা থেকেই আমি অভিনয় করতাম। বাসায় সবাই আমাকে দিয়ে নানা অভিনয় করাতো। এরপর যখন বড় হলাম তখন থেকে নিয়মিত মঞ্চে অভিনয় শুরু করি।
দ্য রিপোর্ট: খ্যাতি-সম্মাননা চলচ্চিত্র থেকে হলেও কেন নিজেকে চলচ্চিত্র থেকে গুটিয়ে নিলেন? কোনো ক্ষোভ বা আক্ষেপ?
ডলি জহুর: না প্রকৃতপক্ষে কোন ক্ষোভ নেই। তবে মনে হল এখন আগের মত আমার পছন্দের কোন কাজ পাচ্ছি না, তাই ভাবলাম আর সিনেমাতে কাজ করবো না। তবে ভালো কোনো কাজের অফার পেলে অবশ্যই করবো।
দ্য রিপোর্ট: আপনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য। সে হিসেবে চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে যদি কিছু বলেন।
ডলি জহুর: হ্যাঁ, বর্তমানে বেশ কিছু ভালো সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে। যা দর্শকদের হলমূখী করেছে। তবে সিনেপ্লেক্সে তো আমরা দর্শকদের মাঝে সেই সিনেমাহলগুলোর মতো উল্লাস দেখতে পাই না। তাই আমাদেরকে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক আনার জন্য ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণ করে যেতে হবে। এর বিকল্প নেই।
দ্য রিপোর্ট: এ প্রজন্মের নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পীরা আপনাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন। এ বিষয়টা আপনার কেমন লাগে?
ডলি জহুর: অবশ্যই অনেক ভালো লাগে। যারা এখন কাজ করছেন তারা সকলেই আমার সন্তানের মতো। তাদের এই ভালোবাসা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।
দ্য রিপোর্ট: আপনার একমাত্র সন্তান দেশের বাইরে থাকেন। ভবিষ্যতে কি আপনি ছেলের কাছে চলে যাবেন?
ডলি জহুর: আমার তো বয়স হয়েছে। তবে ছেলের কাছে বাকি জীবন কাটিয়ে দেব, এমনটা না। আমি করোনার সময়ে দুই বছর ছেলের কাছে ছিলাম। আমাকে আসতে দিতে চাচ্ছিল না। কিন্তু আমি ছেলেকে বলেছি আমি দেশে যাবো। আমাকে সেখানে সবাই চিনে আমি ডলি জহুর। জোর করেই চলে এসেছি। যতদিন পারি কাজ করে যেতে চাই।