ঢাকা একাদশের হয়ে ফ্রান্সে খেলতে যাচ্ছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ডিফেন্ডার এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের রক্ষণভাগের ভরসার প্রতীক ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী মুন্না। ফ্রান্সের মার্সেই শহরের প্রখ্যাত ফুটবল একাডেমি ব্রাফেট একাডেমির বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন মুন্নাসহ বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান এবং সাবেক খেলোয়াড়রা। আগস্টের শেষ সপ্তাহে ইউরোপের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন মুন্নারা। এ ব্যাপারের সিলেটের ছেলে মুন্না জানান, ‘ব্রাফেট একাডেমি অনেক বড় একটা একাডেমি। এই একাডেমির বিপক্ষে আগেও আমরা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছি। আগস্টে আবারো যাচ্ছি। বাংলাদেশের অনেক তারকা খেলোয়াড় এবারের যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। আশাকরি দারুণ এক সফর হবে।’
২০১৮ সালে ঢাকা একাদশের যাত্রা। ওই বছরই প্রথমবার মার্সেই ট্যুরে যান মুন্না, মামুনুল, তকলিসসহ জাতীয় দলের একাধিক ফুটবলাররা। সমন্বয়ক হিসেবে সেবার দায়িত্বে ছিলেন পরিচিত সংগঠক মোহামেডানের পরিচালক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স। এবারও তার নেতৃত্বেই মার্সেই যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুন্নারা। এ ব্যাপারে মুন্না বলেন, ‘এখন ভিসা সংক্রান্ত কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্তের পথে। প্রিন্স ভাই আমাদের জন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম করছেন। ওনার কারণেই মূলত এই সফর হতে যাচ্ছে। প্রিন্স ভাইয়ের নেতৃত্বে এর আগেও আমরা ঢাকা একাদশের হয়ে দারুণ এক সফর করেছিলাম। আশাকরি এবারের সফরও সফল হবে।’
২০১৮ সালে ব্রাফেট একাডেমির বিপক্ষে ৪টি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশের ফুটবল দল ঢাকা একাদশ। এর মধ্যে ৩টিতে জয় এবং ১টিতে হেরেছিলেন মুন্না, মামুনুলরা। এবার ম্যাচ সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। খেলবেন ২টি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। ব্রাফেট একাডেমির বিপক্ষে কেন খেলতে যাচ্ছেন? এই সফরের উদ্দেশ্যই বা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে মুন্না বলেন, ‘আমরা প্রিমিয়ার লিগ, টুর্নামেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচসহ দীর্ঘ একটা সিজন পার করি। এতে আমাদের শারীরিক এবং মানসিক অনেক বড় ধকল যায়। ব্রাফেট একাডেমির বিপক্ষে খেলতে যাওয়ার আমাদের দুটি উদ্দেশ্যে রয়েছে। এক ওদের স্কিল, দক্ষতাকে কাছ থেকে পরখ করা; দুই খেলার ফাঁকে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর ঘুরে দেখা। এতে করে আমাদের মানসিক প্রশান্তি যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি আমরা শারীরিকভাবেও চাঙা হওয়ার সুযোগ পাব।’
ফ্রান্সে তো আগেও খেলতে গিয়েছিলেন। ইউরোপের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মূল পার্থক্যটা কিভাবে মূল্যায়ণ করবেন?- প্রশ্নের উত্তরে মুন্না বলেন, ‘শারীরিক একটা ব্যবধান তো রয়েছেই। তবে অভিজ্ঞতায় ওরা অনেক এগিয়ে। অভিজ্ঞতা বলতে ম্যাচ অভিজ্ঞতা। আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলি। ঘরোয়া লিগ-টুর্নামেন্ট নিয়মিত হলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা ইউরোপের দেশের তুলনায় কম খেলা হয়। যে কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আমরা যদি বেশি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই তাহলে আমাদের র্যাংকিং যেমন এগুবে; তেমনি আমাদের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।’