বেনজেমার হাত ধরে ২ যুগ পর ব্যালন ডি’অর ফ্রান্সে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০৯:২০ এএম

বেনজেমার হাত ধরে ২ যুগ পর ব্যালন ডি’অর ফ্রান্সে

দীর্ঘ ২ যুগ পর আবার ব্যালন ডি’অর গেল ফ্রান্সের ঘরে। ২৪ বছর আগে ফ্রেঞ্চ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর উঁচিয়ে ধরেছিলেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফরাসিদের জয়ের নায়ক জিনেদিন জিদান। তারপর ৩৪ বছর বয়সে এসে দ্বিতীয় ফরাসি ফুটবলার হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের এই পুরস্কার পেলেন করিম বেনজেমা। ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবলে’র ২০২২ সালের বর্ষসেরা হয়েছেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

রিয়ালের জার্সিতে ২০২১-২২ মৌসুমজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল করিম বেনজেমার। লস ব্লাঙ্কোসদের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জিতিয়ে হয়ে উঠেছিলেন ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের অপ্রতিদ্বন্দ্বী দাবিদার।

গত মৌসুমে রিয়ালকে সাফল্য এনে দেয়ার অন্যতম কারিগর বেনজেমা ৪৬ ম্যাচে ১৫ অ্যাসিস্টসহ করেছিলেন ৪৪ গোল। মাদ্রিদ জার্সিতে গড়ে ৬৬.৪২ মিনিটে একটি গোলে অবদান রেখেছিলেন।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত মৌসুমে দুই হ্যাটট্রিকসহ বেনজেমা করেন ১৫ গোল। শেষ ষোলোয় পিএসজির বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়া লস ব্লাঙ্কোসরা অবিশ্বাস্যভাবে ৩-১ গোলের জয় তোলে। ১৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে মোড় ঘুরিয়ে দেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার।

কোয়ার্টার ফাইনালেও ছিলেন রিয়ালের জয়ের নায়ক। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথম লেগে তার হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে চেলসিকে হারায় রিয়াল। ফিরতি লেগেও ব্লুজদের জালে একবার বল জড়ান বেনজেমা।

সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৩ গোল করে স্প্যানিশ জায়ান্টদের ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা মসৃণ করেন বেনজেমা।

এ সময়ে সাড়ে পাঁচ বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমেও ছিলেন উজ্জ্বল। ১০ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল। গত বছর উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ার পর সমতাসূচক গোলটি করেছিলেন। পরে কাইলিয়ান এমবাপের গোলে শিরোপা জিতে নেয় ফ্রান্স।

উয়েফা ন্যাশন্স লিগে দলকে শিরোপা জেতানোর পেছনে রাখেন বড় অবদান। জায়গা করে নেন দিদিয়ের দেশমের বিশ্বকাপ দলেও। ঝলমলে এই পারফরম্যান্সের জন্য তিনি জেতেন উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার।

৩০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে অবশেষে শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের তকমা পান ফরাসি এই তারকা। এখনও ছুটছেন তিনি। খুব শিগগিরই রিয়ালের হয়ে আরও এক বছর চুক্তি নবায়ন করার অফার পাবেন।

সর্বপ্রথম ফরাসি ফুটবলার হিসেবে ১৯৫৮ সালে ব্যালন ডি অ’র জিতেছিলেন রেমন্ড কোপা। পরে মিশেল প্লাতিনি টানা তিনবার (১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৫) ও জিন-পিয়েরে পাপিন (১৯৯১) একবার জেতেন।

সোমবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে প্যারিসের থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটে জমকালো অনুষ্ঠানে এবারের বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০টি দেশের ১০০ সাংবাদিকের একটি দল ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে সেরা পাঁচজনকে নির্বাচিত করেন।

Link copied!