নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জনসংখ্যার বিচারে দেড় লাখ মানুষের কুরাসাও ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শনিবার রাতে কিংস্টনের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জ্যামাইকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে।
এই অর্জনের মাধ্যমে কুরাসাও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়া আইসল্যান্ডকে পেছনে ফেলে। ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৬৬ জনসংখ্যার আইসল্যান্ড এতদিন ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছিল। ওয়ার্ল্ডোমিটারের জরিপ অনুযায়ী, কুরাসাও বিশ্বের ১৮৯তম এবং জনসংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৭।
কনক্যাকাফ অঞ্চলের বাছাইপর্বে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে নিকারাগুয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে হাইতিও ৫২ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে। ‘সি’ গ্রুপে ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে হাইতি। ‘এ’ গ্রুপ থেকে এল সালভাদরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পানামা।
মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটারের কুরাসাও ‘বি’ গ্রুপে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত অবস্থায় শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে। ১০ বছর আগে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৫০তম অবস্থানে থাকা দেশটি এখন ৮২তম।
কুরাসাওয়ের জাতীয় দলের কোচ ডিক অ্যাডভোকাট, যিনি পারিবারিক কারণে জ্যামাইকার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউট উপস্থিত ছিলেন না, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বয়সী কোচ হিসেবে ২০২৬ আসরে নামবেন। ৭৮ বছর বয়সী অ্যাডভোকাট ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ৭১ বছর বয়সে ডাগআউটে দাঁড়ানো অটো রেহাগেলের রেকর্ড ভাঙবেন।
কুরাসাওয়ের সকল খেলোয়াড়ের জন্ম নেদারল্যান্ডসে এবং তারা অ্যান্টিলিয়ান বংশোদ্ভূত। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ায় বাছাইপর্বে কনক্যাকাফ অঞ্চলে তিনটি আসন ফাঁকা ছিল, যা কুরাসাও, পানামা ও হাইতি পূরণ করেছে। এছাড়া, প্লে-অফের মাধ্যমে আরও দুটি দল বিশ্বকাপে উঠবে; মার্চে উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচগুলো।