বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের-বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। ফাহিম নিজেই বোর্ড সভাপতির সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এনে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। যদিও পরে সিলেটে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটে যাওয়ার দাবি করেন ফারুক। খবর সমকাল।
এ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুজন স্পষ্টভাবে বলেন, ‘লোভ আর লালসাই এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ।’
সুজন আরও বলেন, ‘পরিচালক হওয়ার পর ফাহিম ভাই অনেক ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তিনি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কথা বলছিলেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বিষয়টা লোভ-লালসার মতো হয়ে গেছে। তিনি বলছেন, অপারেশন্স না পেলে কাজ করবেন না, পদত্যাগ করবেন। এসবই লোভের প্রকাশ।’
সুজন মনে করেন, ফারুক ও ফাহিমের মধ্যে ইগোর সমস্যাও দ্বন্দ্বকে বাড়িয়ে তুলেছে। তিনি বলেন, ‘দুজনই সাবেক ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে ইগোর সমস্যা কেন হবে? তারা তো ক্রিকেট উন্নয়নের জন্যই বোর্ডে এসেছেন। কিন্তু এখন দেখছি তাদের মধ্যে কে কোন পদ পাবেন, তা নিয়ে লড়াই হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে হবে, এমন দাবি অযৌক্তিক বলে মনে করছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘বিসিবির সাবেক পরিচালক আকরাম খান দীর্ঘদিন অপারেশন্সের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চাইলে দায়িত্ব নিতে পারেন। কিন্তু ফাহিম ভাই কেন অপারেশন্স না পেলে পদত্যাগের কথা বলছেন, তা বোধগম্য নয়।’
তবে ফারুক ও ফাহিমের দ্বন্দ্বে কষ্ট পাওয়ার কথাও বললেন সুজন, ‘আমার কথা হলো ফারুক ভাই, ফাহিম ভাই, দুজনেই অনেক সিনিয়র মানুষ। ফাহিম ভাই তো অবশ্যই আমাদের সবার গুরু। আমাদের ক্রিকেট প্রশিক্ষক। তিনি বিচক্ষণ একজন মানুষ। এখানে ঝামেলা করবেন কেন? আমি বলছি যে এরা দুজনেই ক্রিকেটার। আমাদের সব ক্রিকেটারের জন্যই এটা লজ্জাজনক ঘটনা। তাদের কেন ইগোর প্রবলেম হবে, তারা তো ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্যই আসছে এবং তারা যখন আসে তাদের অনেক কমিটমেন্ট দেখেছি।’
সবার সামনে ফারুক-ফাহিমের দ্বন্দ্বের ঘটনা কেন প্রকাশ পেল, সেটা বুঝতেই পারছেন না সুজন। সংবাদমাধ্যমকে ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ বলেন, ‘জিনিসটা হচ্ছে যে সংসারে তো অশান্তি আছেই। কার সংসারে অশান্তি নেই? সব সংসারে অশান্তি আছে। ঠিক না? তাই বলে কি এটা সবার সামনে প্রকাশ পাবে?’