ওয়ানডে বিশ্বকাপে সোমবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। বিশ্বকাপ মঞ্চে শ্রীলংকার বিপক্ষে কোন জয় নেই বাংলাদেশের।
এখন পর্যন্ত চারবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। তিনবার জয় পেয়েছে শ্রীলংকা। ১টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
২০০৩ সালে ১০ উইকেটে, ২০০৭ সালে ১৯৮ রানে এবং ২০১৫ সালে ৯২ রানে জয় পেয়েছিলো শ্রীলংকা। ২০১৯ সালের সর্বশেষ আসরের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিলো।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৫৩বার একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে লংকানরা। ৪২ ম্যাচে জিতেছে শ্রীলংকা। ৯টিতে জয় আছে বাংলাদেশের। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
গত আগস্টে এশিয়া কাপে সর্বশেষ ওয়ানডে ফরম্যাটে দেখা হয়েছিলো বাংলাদেশ-শ্রীলংকার। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে এবং সুপার ফোরে ২১ রানে হারিয়েছিলো শ্রীলংকা।
ম্যাচটি আজ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। তবে বায়ুদূষণের কারণে পরিস্থিতি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় হুমকির মুখে পড়েছে ম্যাচটি। গতদিন দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৪৬৫। এ অবস্থায় মাস্ক পড়ে অনুশীলণ করেছে জয়ের পথে ফিরে যেতে মরিয়া বাংলাদেশ। ৪শর উপর একিউআইকে অনেক বেশি বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। জানা গেছে, ম্যাচের দিন একিউআই পরিমাপ করার পর ম্যাচ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন কর্মকর্তারা।
এ পর্যন্ত মাত্র একটি জয় পাওয়া বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে। প্রায় এক মাস আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ এবং ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালের খেলার লক্ষ্যে শুরুটা দারুনভাবেই করেছিলো টাইগাররা।
কিন্তু নিজেদের সেরা পারফরমন্সে প্রদর্শন করতে পারেনি বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের কাছে হতাশাজনক হারসহ টানা ছ’টি ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। টানা হারে বিধ্বস্ত ও বিষন্ন করে ফেলেছে খেলোয়াড়দের এবং এই মুহুর্তে কোন ম্যাচ জয়ের মত দল বলে মনে হচ্ছে না বাংলাদেশকে।
তারপরও আশাবাদী বাংলাদেশ। কারন ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠেয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে দল। আইসিসির নিয়ম অনুসারে, আয়োজক পাকিস্তান এবং বিশ্বকাপের শীর্ষ সাত দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপে দু’টি ম্যাচ জিতলেও শ্রীলংকার পারফরমেন্স মোটেই আহামরি কিছু হচ্ছে না। যদিও এখন পর্যন্ত গাণিতিকভাবে সেমিফাইনালের দৌঁড় থেকে বাদ পড়েনি লংকানরা। কিন্তু সেমিতে জায়গা পেতে অনেক যদি-কিন্তর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের।