আমার বিশ্বাস ছিল : শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক

ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ০৮:২২ পিএম

আমার বিশ্বাস ছিল : শান্ত

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন শান্ত। কিন্তু তার জন্য বড় পাওয়া হলো, প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে অধিনায়কত্বের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে শান্তর সেঞ্চুরিতে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
ইনজুরির কারনে সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব পাবার পর শান্ত স্পষ্ট  করেই বলেছিলেন, নিজেদের সেরাটা দিয়ে ঘরের মাঠে অন্তত একটি ম্যাচে জয় পেতে চান এবং তার কথা বাস্তবে রুপ নিয়েছে।
ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, ‘একটা ম্যাচ জয় সবসময়ই ভালো অনুভূতি দেয় এবং আবার সেটি অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমরা একটি দল হিসেবে খেলেছি এবং গত পাঁচ দিনে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম। আমি কাউকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এটি (ম্যাচ জয়ের বিষয়ে) বলিনি। আমি এই সিরিজ জিততে চাই ও আমরা সিরিজ জয়ের জন্যই খেলবো। এমন নয় শুধুমাত্র আমারই সেই বিশ্বাস আছে, আসলে দলের সবারই বিশ্বাস আছে। আমি যখন প্রত্যেক খেলোয়াড়কে এভাবে ভাবতে দেখেছি, তখন এটা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে।’
নিজেদের চেনা কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভালো পারফরমেন্সের কারনে বাংলাদেশের সিরিজ জেতা উচিত বলে মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘নিজেদের সেরাটা দেওয়ার উপযুক্ত আমাদের নিজেদের কন্ডিশনে খেলছি। আমার মনে হয় সিরিজ জয় সম্ভব। কাজ এখন অর্ধেক হয়েছে, আর এক ম্যাচ বাকি। তবে বিষয়টা এমন নয় যে, আমরা এমনি এমনিই  দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে যাব।  এজন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে ও ঐ পাঁচ দিন আবারও কঠিন হবে। আমাদের পারফরমেন্সের  আরো উন্নতি ঘটবে এবং পরের ম্যাচ জিতবো বলে  আমি আশা করছি।’
দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার আগে, প্রথম ইনিংসে ৩৫ বল ৩৭ রান করেছিলেন শান্ত। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে না পারায় সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
শান্ত জানান, নিউজিল্যান্ড  তাদের  বোলিং পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছেন। এজন্য প্রথম ইনিংসে ঝুঁকি নিতে হয়েছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে শান্ত বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে কিছুটা আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়েছিলো তারা। স্বাভাবিকভাবেই আমার কাছে বাউন্ডারির মারার বিকল্প ছিলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কাছাকাছি অনেক ফিল্ডার থাকায় এই উইকেটে বেশিক্ষণ রক্ষণাত্মক খেলা সহজ ছিল না। তারা যখন কাছে-দূরে মিলিয়ে ফিল্ডিং সেট করেছিল, তখন রক্ষণাত্মক শট খেলতে আমার সমস্যা হয়নি। পরে আমি আমার স্বাভাবিক গেম প্ল্যানে গেলাম। আমি তখন ঝুঁকিপূর্ণ শটে যাইনি। তারা আবার আক্রমনাত্মক হলে  করলে আমিও করেছি। এটাই পরিকল্পনা ছিল। কখনও কখনও ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা করতে হয় এবং এজন্য আমি সেভাবেই খেলেছি।’

Link copied!