জুন ২৫, ২০২৩, ০৪:০৫ পিএম
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন স্বপ্না আক্তার (১৯) নামে এক নারী ফুটবলার। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বপ্না।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন গোলরক্ষক স্বপ্না আক্তার। তিনি উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের পয়জুর উদ্দিনের মেয়ে। কোরবানি ঈদের পরই তার প্রশিক্ষণ নিতে পর্তুগাল যাওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও নান্দাইল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাড়ির সীমানা বিরোধের জের ধরে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে স্বপ্নার পরিবারকে গালাগাল শুরু করেন প্রতিবেশী শামছুল হক ও তার ছেলে সোহেল রানা। প্রতিবাদ করলে স্বপ্নার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় স্বপ্না এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা চালায় শামছুল ও তার ছেলে। এতে গুরুতর আহন হন স্বপ্না। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘বাড়ির সীমানা ছাড়াও নারী হয়ে ফুটবল খেলার কারণে স্বপ্না আক্তারের চাচা মো. শামছুল হক দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা করছিলেন। এ নিয়ে চাচা স্বপ্না আক্তারের পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আপত্তিকর কথাবার্তা বলে অপপ্রচার চালান। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের লোকজন বেশ কয়েকবার সালিস করলেও শামছুল হক ও তার ছেলে সোহেল রানা (৩৫) ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায়ই স্বপ্না আক্তারের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটান। এ নিয়ে এক মাস আগেও তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।পুলিশ তদন্ত করতে গেলে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বাবা ও ছেলে। পরে ঘটনাটি নিয়ে তখন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
এ অবস্থায় শনিবার বিকেল থেকেই সীমানা বিরোধের জের ধরে স্বপ্নার পরিবারকে গালাগাল শুরু করেন প্রতিবেশী শামছুল হক ও তার ছেলে সোহেল রানা। স্বপ্নার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন এর প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালান তারা।’
স্বপ্না জানান, তিনি ছাড়াও তার সঙ্গে নান্দাইল থেকে আরো দুজন ঈদের পরই পর্তুগাল যাবেন বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে।
এবিষয়ে আহত স্বপ্নার মা সুরাইয়া আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, মেয়েকে সদরে নিয়ে যাওয়ার পর তার স্বামীসহ যেতে চাইলে তাদেরও বাধা দিয়ে মারধরের হুমকি দেন সোহেল। এতে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছেন। পরে আরেক মেয়ে শাবানাকে দিয়ে স্বপ্নার লিখিত অভিযোগ থানায় পাঠানো হয়।
নান্দাইল থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।