চাপমুক্ত ও দায়মুক্ত হলো অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্কটল্যান্ডের কাছে হারার পর বাংলাদেশ দল মাসকটে যে মানসিক চাপ সহ্য করেছে। সেটার থেকে মুক্তি মিলেছে অবশেষে। পাপুয়া নিউ গিনিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ দল এখন অফিসিয়ালি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে (৮৪ রানে হারাল)। ১৯.৩ ওভারে ৯৭ রানে অলআউট পাপুয়া নিউগিনি। আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে কিনা সেটা রান রেটে নির্ভর করবে। রাতে স্কটল্যান্ড ও ওমানের ম্যাচের ফল কোন দিকে যায় সেটার ওপর নজর রাখতে হচ্ছে। আর সে ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মূল পর্বে কোন গ্রুপে আর কাদের সঙ্গে খেলবে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টস জিতে ফিল্ডিং নেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মাসকট একদম কোনো লড়াই করতে পারেনি। সাকিব ৪ ওভার বল করে ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ওমানের ম্যাচেও দারুণ পারফরম্যান্স ছিল তার। আবারো তিনি জ্বলে উঠেছেন। ব্যাটিংয়ে তিনি ৩৭ বলে ৪৬ রান করেছিলেন। তবে মাহমুদউল্লাহর ২৮ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশকে বিশাল স্কোর এনে দিয়েছে।
সাকিব রেকর্ডও করেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৬ আসরে মোট ৩৯ উইকেট সাকিবের। সর্বোচ্চ ছিল শহীদ আফ্রিদির। তাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব। আর এই রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার অপেক্ষা এখন। বাংলাদেশও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোর করেছে এই ম্যাচে। এর আগে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে ধর্মশালায় ১৮০ রান। সেটা পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দারুণ ব্যাট করেছে। সাকিব ৪৬, মাহমুদউল্লাহ ৫০, আফিফ ২১ ও লিটন ২৯ রান করেন। শেষ ওভারে সাইফউদ্দিন ঝড় তোলেন। ৬ বলে ১৯ রান করেন ২টি ছয় ও ১টি চারে। পাপুয়া নিউগিনির আসাদ, রাভু ও মোরেয়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম সাতজনের কেই ১০ এর ঘরে যেতে পারেনি। ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান চাদ ১১ রান করেন। আর দলীয় সর্বোচ্চ অষ্টম ব্যাটসম্যান কিপলিন ডর্গিয়ার (৪৬)। সাইফউদ্দিন ২১ রানে ২টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট শিকার করেন তাসকিন। আর মাহেদীর রয়েছে ১টি।