ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের বিদেশে গোপন বিনিয়োগ ছিল। বিশ্বের শক্তিধর বিভিন্ন দেশের নেতা, রাজনীতিবিদ ও ধনকুবেদের গোপন সম্পদ ও লেনদেনের বিপুল পরিমাণ নথি ফাঁস করে দেওয়া প্যানডোরা পেপার্সে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তদন্তমূলক সাংবাদিকতার সৌজন্যে বিশ্ব জুড়ে ডাকসাইটে নেতা, মন্ত্রী থেকে সেলিব্রিটি প্রত্যেকের আর্থিক খুঁটিনাটি ফাঁস করেছে এই প্যানডোরা পেপার্স। দুবাই, পানামা, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে বিশ্বের তাবড় প্রভাবশালীরা যে অর্থ বা সম্পদের লেনদেন করেছেন গোপনে, তার সব তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই নথিতে অন্তত ৩৫ জন বর্তমান ও সাবেক নেতা এবং তিন শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার নথি ফাঁস হয়েছে। প্যানডোরা পেপার্স এসব ফাঁস করেছে।
এবার সেই নামের তালিকায় উঠে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের নামও। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে গোপন বিনিয়োগ ছিল শচীনের।
তবে প্যানিডোরা পেপার্সে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের নাম থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শচীনের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, শচীনের সকল বিনিয়োগ বৈধ এবং এসব বিষয়ে কর কর্তৃপক্ষের কাছে সব তথ্য রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বাবিস, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার- এমন আরও অনেক নেতার গোপন সম্পদের তথ্য এতে প্রকাশ পেয়েছে।
প্যানডোরা পেপার্স কী
বিশ্বের শক্তিধর নেতা, প্রেসিডেন্ট, রাজনীতিবিদদের গোপন তথ্য ‘প্যানডোরা পেপার্স’ নামে ফাঁস বা উদঘাটন করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। এই সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছেন ব্রিটেনের বিবিসি এবং দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্র এবং ভারতের 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'সহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের ৬ শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী। এসব গণমাধ্যম দাবি করেছে এক কোটি ১৯ লাখ দলিলপত্র তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।
প্যারাডাইস পেপার্স, পানামা পেপার্স ইত্যাদি নামে গত ৭ বছর যেসব গোপন দলিলপত্র ফাঁস হয়েছে, এই প্যানডোরা পেপার্স হচ্ছে তার সবশেষ ঘটনা।