মায়ামিতে ছুটি কাটানো শেষে দেশে ফেরার পথে মাঝ আকাশে বিপদে পড়ে ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার নেইমারের ব্যক্তিগত বিমান। বার্বাডোজ থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে।
প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয়। পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের একটি ছোট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে নেইমারের বিমান। এতে প্রাণে বেঁচে যান নেইমার এবং তাঁর বোন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানডট সিও.ইউকে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর একটি বহুমূল্য গাড়ি। স্পেনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারেন। দুর্ঘটনার সময় রোনাল্ডো অবশ্য গাড়িতে ছিলেন না। পরের দিনই নেমারের বিমান বিপদে পড়ল। বিমানেই ছিলেন ব্রাজিলের ফুটবল তারকা।
বিমান ছাড়ার আগে বোন রাফায়েলাকে পাশে নিয়ে একটি ছবি তোলেন নেইমার। নেটমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেন তিনি। আকাশে ওড়ার পর বিমানের জানলা থেকে তোলা নিচের ছবিও নেটমাধ্যমে দেন প্যারিস সঁ জঁ ফুটবলার। যদিও ব্রাজিলের একটি সূত্রের দাবি, বিমানে ছিলেন না নেইমার।
বোনের সঙ্গে মায়ামিতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেইমার। গত সপ্তাহেই মায়ামির সমুদ্রসৈকতে বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্ডি এবং বোন রাফায়েলার সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ব্রাজিল ফেরার সময়ই মাঝ আকাশে এই বিপত্তি। ছোট বিমান হওয়ায় ঝুঁকি নিতে চাননি পাইলট। শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই অবতরণ করে নেইমারের বিমান। নেইমার এবং তাঁর বোনের কোনও আঘাত লাগেনি।
নেইমারের ব্যক্তিগত বিমানটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৩১ কিলোমিটার গতিতে যেতে পারে। এক টানা ২,৯০০ নটিক্যাল মাইল উড়তে পারে। আকারে ছোট হওয়াতেই পাইলট খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে বিমান চালানোর ঝুঁকি নেননি।