মরুর বুকে সাম্বানৃত্যে কালো মানিককে জয় উপহার দিলো ব্রাজিল

ক্রীড়া ডেস্ক

ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৯:০৩ এএম

মরুর বুকে সাম্বানৃত্যে কালো মানিককে জয় উপহার দিলো ব্রাজিল

মরুর বুকে সাম্বা নৃত্যের ছন্দ দেখার সুযোগ আজ কয়েকবারই পেলো বিশ্ব। ৩৬ মিনিটেই ৪ গোল দিয়ে যখন উড়ছিল ব্রাজিল তখন গ্যালারিতেও সাম্বাপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস যেন উপচে পড়ছিল। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ৪-১ গোলে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে সাম্বার ছন্দে ছন্দেই খুব সহজেই শেষ আটে পা রাখলো সেলেসাওরা।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ নক-আউট পর্বের লড়াইয়ে নামে ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথমার্ধে ৪ গোল করে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিচ্ছিল তিতের দল। ৭ মিনিটেই ভিনিসিয়ুসের গোল দিয়ে উৎসবের শুরু, তারপর ১৩, ২৯, ৩৬ এ রীতিমত গোলবন্যা! প্রথমার্ধেই স্টেডিয়াম ৯৭৪ দেখলো ব্রাজিলের দুর্দান্ত চারটি গোল।

Brazil Korea

খেলা শেষে কিংবদন্তী পেলেকে জয় উৎসর্গ করে ফটোসেশনে ব্রাজিল দল। ছবি: Confederação Brasileira de Futebol
 

প্রথমার্ধের উজ্জ্বল ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে ম্লান হয়ে গেল হঠাৎ! গোলের তৃষ্ণা উধাও! দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণাত্মক হয়ে গেল ব্রাজিল। এই সুযোগে দক্ষিণ কোরিয়া জেগে উঠল। একটি গোল তাঁরা পরিশোধও করে ফেলল। পেয়েছিল আরও দু-একটা সুযোগ। কিন্তু সেসব থেকে গোল আসেনি। ফলে ৪-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো ব্রাজিল। ৪-১ গোলের এই জয়টি ব্রাজিল উৎসর্গ করেছে নিজ দেশের ফুটবল কিংবদন্তী পেলেকে।

শেষ ষোলোর লড়াইয়ে প্রথমার্ধের আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার জালে চার গোল জড়িয়ে উড়ন্ত শুরু করলো সেলেসাওরা। ৭ মিনিটে ভিনিসিয়াসের গোলের পর পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেইমার। এরপর ২৯তম মিনিটে গোল পান রিশার্লিসন। তারপর দারুণ পাস থেকে চতুর্থ গোল করেন লুকাস পাকুয়েটা। তাতে ৪-০ গোল এগিয়ে বিরতিতে গেছে তিতের শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই লম্বা পাসে আক্রমণের চেষ্টা করতে থাকে ব্রাজিল। প্রথম অ্যাটাক থেকেই গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৭ মিনিটে বাম দিক থেকে রাফিনহার বাড়ানো বল পায় ডি বক্সের ফাঁকায় দাড়িয়ে থাকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ঠান্ডা মাথায় অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান তিনি। তার গোলে ম্যাচের শুরুতেই লিড পায় ব্রাজিল।

Brazil Neymar Korea

পেনাল্টিতে গোল করার পর উদযাপনে মেতে উঠেন ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। ছবি: Confederação Brasileira de Futebol

ম্যাচের ১১ মিনিটে বক্সের ভেতরে রিশার্লিসনকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলকে দুই গোলের লিড এনে দেন ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে
ফেরা ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শট করেন হাওয়াং হিচান। দারুণভাবে সেই বলকে সেভ করেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার।

ম্যাচের ২৮ মিনিটে কর্নার পায় ব্রাজিল। কর্নার থেকে ফিরতি বলে সাজানো আক্রমণ থেকে থিয়াগো সিলভার পাস থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান রিশার্লিসন। ম্যাচের ২৯ মিনিটে গোল করেন তিনি। তাঁর গোলে তিন গোলের লিড পায় ব্রাজিল। 

ম্যাচের ৩২ মিনিটে আবার আক্রমণে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। বাম দিক থেকে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে শট করেন হাওয়াং হিচান। আবারও সেভ করেন অ্যালিসন বেকার। 

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস থেকে বল জালে জড়ান লুকাস পাকুয়েতা। তাঁর গোলে ম্যাচে চার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এরপর আরও বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় দু' দলই। শেষ পর্যন্ত চার গোল এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে সেলেসাওরা।

দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল আর গোলের জন্য মরিয়া হয়নি। এই সুযোগে দক্ষিণ কোরিয়া খেলায় ফেরার চেষ্টা করে। তাঁর ফলও পায় তাঁরা। একটি গোল পরিশোধ করে তাঁরা। শেষ ওই এক গোল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে এশিয় টিমটিকে। 

 

Link copied!