বিশ্বকাপটা শুরু হয়েছিল খুবই অগোছালোভাবে। ছন্নছাড়া সেই টিম প্রথম রাউন্ডেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল সৌদি আরবের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে। সেই খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসেছে মেসির আর্জেন্টিনা। প্রতিটি ম্যাচে আরও শাণিত হচ্ছে দুই বারের বিশ্বকাপ জয়ী মারাদোনার দেশ। তাঁরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দিবাগত রাতের ম্যাচে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে হারালো তাঁরা ২-১ গোলে। নক আউট পর্বের এই জয়ে তাঁরা পৌঁছে গেল শেষ আটে।
প্রথমে ঢিমেতালে শুরুর এই ম্যাচে ছন্দ খুঁজে ফেরা দলকে ৩৫ মিনিটের মাথায় দারুণ এক গোলে পথ দেখালেন লিওনেল মেসি। পাঁচ বিশ্বকাপ মিলিয়ে এটি তাঁর ৯ নম্বর গোল। এই গোলের সুবাদে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন কিংবদন্তি মারাদোনাকেও (গোল ৮)। এটি বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম গোল। আর এটি ছিল ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মেসির ক্যারিয়ারের ১০০০তম ম্যাচ।
প্রতিপক্ষের ভুলে পরে মিলল আরেক গোল। মেসির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হুলিয়ান আলভারেস।
আর্জেন্টিনার অনায়াস জয়ের দিকে এগিয়ে চলা ম্যাচে হঠাৎ নাটকীয়তা, ব্যবধান কমিয়ে আক্রমণে ধার বাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। একেবারে শেষ সময়ে তো গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল তাঁরা। বিশ্বস্ত এমিলিয়ানো মার্তিনেস আর কোনো বিপদ হতে দিলেন না। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নিল লিওনেল স্কালোনির দল।
আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা।
শেষ দিকে ক্রেইগ গুডউইনের সৌভাগ্যসূচক গোলে আশা জাগে অস্ট্রেলিয়ার। তবে অঘটনের বিশ্বকাপে নতুন কোনো অঘটনের জন্ম দিতে পারেনি তাঁরা। অভিজ্ঞতার অভাবে অস্ট্রেলিয়া দারুণ কিছু আক্রমণ থেকে গোল বের করে নিতে পারেনি। এক গোলের প্রশান্তি নিয়ে নক আউট থেকে বিদায় নিতে হল সকারুদের।