একমাস পর ফের জাতীয় গ্রিডে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৩:২৪ এএম

একমাস পর ফের জাতীয় গ্রিডে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ

কয়লার সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় এক মাস পর আবারও বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) প্রকল্প পরিচালক সুভাষ কুমার পান্ডে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে প্রথম ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৩০ হাজার টন কয়লা আছে। আরও ৫৫ হাজার টন দু-চার দিনের মধ্যে চলে আসবে। কয়লা আমদানিতে যে জটিলতা ছিল তা সমাধান হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসবে। ফলে এখন থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনের ক্ষতির বিষয়ে কোনো উদ্যোগ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নিয়েছে কিনা– এমন প্রশ্নের উত্তরে সুভাষ কুমার বলেন, পরিবেশগত সব ধরনের বিষয় চিন্তা করে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই কেন্দ্র কিন্তু এরই মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে। কোনো ক্ষতি তো হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে বিআইএফপিসিএল’র উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, “আমরা বন্ধ হওয়া প্রথম ইউনিট থেকে আবারও উৎপাদন শুরু করেছি। কয়লা আমদানিতে যে জটিলতা ছিল তা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত উৎপাদন করা সম্ভব হবে।”

বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট প্রতিদিন চালিয়ে রাখতে পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, এই হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো সম্ভব। পরবর্তী সময়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা এলে তা দিয়ে কেন্দ্রটি আরও ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।”

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুত রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ডলার সংকটে এতদিন কেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো মজুত ছিল না। কয়লা ও ডলার সংকটের মধ্যেও আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

Link copied!