ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পরবর্তী ধাপগুলোতে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবেনা। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জয়পুরহাট জেলা কালেক্টরেট কনফারেন্স রুমে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এ কথা বলেন।
কবিতা খানম বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ভোট কারচুপি বা কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।”
কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিজাইডিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কোনো কর্মকর্তা যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন, তাহলে সবার বিরুদ্ধেই আইনের ব্যবস্থা হবে।”
কবিতা খানম আরও বলেন, “ভোট গ্রহণে কেউ বাঁধা দেওয়ার এতটুকুও চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা কিন্তু চোখ বন্ধ করে থাকব না। আমাদের এখানে ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি ইউনিয়নে ভোটের দিন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, স্ট্রাইকিং ফোর্স বিজিবি, র্যাব থাকবে।”
গত নির্বাচনেও একজন প্রিজাইডিং অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম আরও বলেন, “এ ছাড়া দুজন ভোটারকে আমরা ভোটকেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করেছি এবং এক বছরের সাজা দিয়েছি শুধু ভোটে বিঘ্ন ঘটানোর অপপ্রয়াস করার জন্য। সুতরাং, একটা ভোটকে সুষ্ঠু করার জন্যই কিন্তু আমরা এতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি।”