রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের কেমিন্না শহর দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে লুহানস্কের এই শহরটির পতনের বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি’র খবরে বলা হয়, রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে স্লোভিয়নস্ক ও ক্রামাতোর্স্কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ইজুম শহরের দক্ষিণে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার বাহিনীগুলো প্রায় ১৮ হাজার বাসিন্দার শহর কেমিন্না নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, বিভিন্ন প্রতিবেদনে এ খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল।
রুশ বাহিনী দনবাস অঞ্চলে অত্যন্ত সুরক্ষিত ইউক্রেনীয় অবস্থানগুলো ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে, এমন ধারণা পাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।
খবরে বলা হয়, রাশিয়ান বাহিনী দক্ষিণ দিক থেকে জাপোরিজজিয়া শহরে আক্রমণ করতে পারে, এমন সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলো সেখানে প্রতিরক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এসব তথ্য বিবিসি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনকে অস্ত্রসাহায্য করে ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে নেমেছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ইউক্রেন ইস্যুতে সামনে আসা পরমাণু যুদ্ধের হুমকিকে খাটো করে না দেখতেও পশ্চিমাদের সতর্ক করেছেন তিনি।
সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে একাধিকবার অস্ত্র সম্ভার ধ্বংস করেছে রাশিয়া। তারপরেও সেখানে অস্ত্র যাচ্ছে কী করে? এর থেকেই স্পষ্ট, ন্যাটো তাদের অস্ত্রের জোগান অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনকে অস্ত্রসাহায্য করে ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে নেমেছে। এই অস্ত্রের সাহায্যেই রাশিয়ার সেনার উপর আক্রমণ চালাচ্ছে ইউক্রেন।