ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতিলিটার ১৫ টাকা বাড়ায় গনপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর পর লঞ্চের ভাড়াও বাড়িয়েছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে লঞ্চ মালিক সমিতি। রবিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে সরকারের সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের বৈঠকে ভাড়া বাড়ানো ও ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ি, এখন থেকে লঞ্চে প্রতি কিলোমিটার ৬০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। আগের ভাড়ার চেয়ে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক নতুন ভাড়ার হার সাংবাদিকদের জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি, যাত্রী পরিবহন সংস্থা এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আগে, নৌপথে লঞ্চ ভ্রমণে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ি এখন এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। ১০০ কিলোমিটারে বেশি দূরত্বে আগে প্রতি কিলোমিটারে লঞ্চ ভাড়া ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ি নতুন ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা। অন্যদিকে, ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে ভাড়া বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। এছাড়া, লঞ্চে সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৩ সালে সর্বশেষ লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর আর ভাড়া বাড়ানো হয়নি। আলোচনাকালে লঞ্চ মালিক সমিতি ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান এ বিষয়ে পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।রাতেই এই সিদ্ধান্ত তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সরকার ডিজেল ও কেরোসিন তেলের মূল্য বাড়িয়ে দিলে লঞ্চ মালিকরা এর প্রতিবাদে লঞ্চ ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়ে শনিবার (৬ নভেম্বর) থেকে ধর্মঘট করছিলেন।